পানি উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান রমজান আলী কর্তৃক তরুণীকে ধর্ষণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ মৃত্যুর পথযাত্রী ,থানায়এজাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃপানি উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান রমজান আলী কর্তৃক তরুণীকে ধর্ষণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ মৃত্যুর পথযাত্রী ,থানায়এজাহার।প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ধর্ষণের বাদির

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মারাত্মক ব্যথা অনুভব করায় চিকিৎসা নিয়ে মামালা করতে দেরি হওয়ার কারণ উল্লখ করেছেন এজাহারে। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, জোর করে ব্লাক কফি স্পাইটের মত তরল পানির সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পান করিয়ে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী নুরনেসা আক্তার । তিনি আরও অভিযোগ করেন তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ব্যথা অনুভব করায় কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ বা সেক্স টয়’র মত কোনো জিনিস ব্যবহার হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন এ ভূক্তভোগি নারী। আর জঘন্য অপরাধ ধামাচাপা দিতে মামলার ভিকটিম কে পনের লাখ দিতে স্বীকার করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক আসামি রমজান আলি প্রমানিক।এছাড়াও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর পানি উন্নয়ন বোর্ড এর মহাপরিচালকের পদ বাগিয়ে নিয়ে দুর্নীতির টাকা ব্যয় করেছেন নারী পরকীয়ায়। নুরনেসা ছাড়াও একাধিক নারীর সাথে পরকীয়া করে লাখ লাখ টাকা গচ্ছা দিয়েছেন এ নারী লিপ্সা ব্যক্তি রমজান আলি প্রমানিক। সরকাররে বড় বড় মেগা প্রকল্পের কাজের অনিয়ম দুর্নীতির আদ্যোপান্ত আসতেছে । চোখ রাখুন নবজাগরণের পাতায়

অনুসন্ধানে জানা যায়, কিছু দিন পূর্বে নুর নেসা আক্তারের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় রমজান আলির। ম্যাসেঞ্জারে ফোন দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন যায়গায় দেখা ও কথাবার্তাসহ কুশল বিনিময় হয়। নুর নেসার আটজনের নামে রাজধানীর মুগদা এলাকায় ছয় কাঠা জমির একটি প্লট রয়েছে। ওই জমিতে বাড়ি নির্মাণ করতে ৫০ লাখ ব্যাংক লোন তুলে দেওয়ার আশ্বাস দেন রমজান আলি। গত ৬ মে ম্যাসেঞ্জারে ফোন দিয়ে ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে আলোচনায় বসার কথা বলে ডেকে আনেন। নুর নেসা সরল বিশ্বাসে উক্ত ঘটনা স্থলে পৌঁছালে তাঁর বন্ধুর বাসার কথা বলে বন্ধু আশরাফুলের বাসায় নিয়ে যান। ওই বাসায় ব্যাংকের কোনো লোক না থাকলেও ফ্লাট মালিক আশরাফুলের অফিস সহকারী তাদেরকে রিসিভ করে এবং আশরাফুলের নির্দেশে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করে। বিষয়টি বুঝতে পারলে কিছু বলার আগে দরজা বন্ধ করে দেন রমজান আলী এবং তাকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন রমজান আলি। তিনি আরও হুমকি দিয়ে বলেন, যদি কোনো শব্দ করস তাহলে প্রাণে শেষ করে দেবো এবং লাশ গুম করে অজ্ঞাত স্থানে ফেলে দেবো। হুমকি ধমকি দিয়ে চানাচুর ,নুডুলস,ঝালমুড়ি ,ব্লাককফি,স্প্রাইট খেতে দেন। সে নিরুপায় হয়ে পিপাসা অনুভব করলে স্প্রাইট পান করেন। কিছুক্ষণ পরে অচেতন হয়ে পড়লে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে রমজান আলী।

এদিকে ধর্ষণের সময় অন্য কেউ জড়িত ছিল কিনা তা অনুমান করা সম্ভব হয়নি। তবে জ্ঞান ফিরলে জরায়ূ থেকে অতিরিক্ত ব্লাডিং ও মারাত্মক ব্যথা অনুভব হয়েছে।মিশন শেষ করে ধর্ষণের আলামতগুলো টয়লেটের কোনে লুকিয়ে রেখে বেরিযে আসেন রমজান আলি। ওই সময় ভুক্তভোগি নারীর জ্ঞান ফিরলে বাথরুমে যান, অনেক সু-কৌশলে ধর্ষণে ব্যবহৃত আলামতগুলো নিজ হেফাজতে নিয়ে নেন এবং মোবাইলে ধারণ করে রাখেন। যাওয়ার সময় রমজান আলি প্রমানিক হুমকি দিয়ে আরও বলেন,এ কথা কাউকে বললে এবং মামলা মোকদ্দমা করলে পরিণতি ভাল হবেনা। ধর্ষিতা নারী নিরুপায় হয়ে বিষয়টি বাসায় খবর দিলে তাঁর আত্মীয়রা ঘটনা¯স্থলে এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় যান এবং ধর্ষণের অভিযোগে নারী শিশু ৯/১ ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেলে মামলা রুজু করেন। ক্যান্টনমেন্ট থানার মামলা নং ১১ তাং ২৯/৫/২০২৪

ভুক্তভোগি নারীর আত্মীয় আলতাপ হোসেন মামলার ১ নম্বর স্বাক্ষী সাংবাদিকদের বলেন , আমি জানি নুরনেসা আক্তার জুই তার বাড়ির নির্মাণ কাজ চলমান ব্যাংক লোনের জন্য আলাপ আলোচনা চলছিল। প্রতারণার আশ্রয় নিযে অত্যান্ত সুকৌশলে ডিইউএস ৪৯২/১ লেন-৯ লিফট -৩ বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চিকিৎসা করাই। পরে সুস্থ্য হলে ক্যান্টনমেন্ট থানায় এজাহার দয়ের করি।

এসব বিষয় জানতে রমজান আলির মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠালেও কোন জবাব দেননি। তার বন্ধু আশরাফুল ইসলাম কে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।