কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য আব্দুল হাই কানুকে জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘুরিয়েছে এলাকা বাসী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জুতার মালা গলায় দিয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঘুরতে থাকা আবদুল হাই কানু কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য ও উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি। দুপুরে ভাত খেতে বসলে জনৈক বিরোধী দলীয় কর্মীর ভাতের থালায় লাথি মেরে ফেলে দেওয়ার মত গুরুতর অপরাধে দুষ্ট সে। এদিকে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক গণমাধ্যমে এই নিপীড়ক কানুর বড় পরিচয় হয়ে গেল বীর মুক্তিযোদ্ধা !!!

তথ্য সূত্রে জানা যায়,গত রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে চৌদ্দগ্রামের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কানুর গলায় জুতার মালা পরানো একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তারপর থেকে শুরু হয়েছে মায়াকান্না। যে বা যারা করুক কাজটা ঠিক করেনি। তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া উচিৎ ছিল।

কানুর গলায় জুতার মালা পরিয়ে চক্কর দেওয়ানোতে দুটো বিষয় ভয়াবহ রকম নেতিবাচক। দেশে আইনের শাসন বলতে এখনও কিছু নাই ঠিক যেমন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমলে ছিল না। তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়, কানুর অপরাধের থেকে ব্যক্তি পরিচয় বড় হয়ে গেছে। ঠিক যেমন ফ্যাসিস্ট আমলে কারও অপরাধ নির্ধারিত হতো ব্যক্তি পরিচয় দিয়ে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কানু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার প্রথমদিকে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্কের কারণে এলাকায় পুরো তাণ্ডব সৃষ্টি করেছিল । পরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে চাঁদাবাজির টাকা লেনদেন দিয়ে সম্পর্কের অবনতির হয়, এরপর সে এলাকায় থাকতে পারেনি। এমনকি কানু একাধিক হত্যা মামলার আসামিও হয়েছে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলেই। তারপরেও বিরোধীদের নিপীড়নে স্থানীয় পর্যায়ে তার দাপট বিন্দুমাত্র কমেনি। এজন্যই স্থানীয়দের তার উপরে চরম ক্ষোভ ছিল দীর্ঘদিনের। কানুর অবস্থা থেকে অনেকের শিক্ষা নেয়া উচিত। ক্ষমতা চিরদিন স্থায়ী থাকে না। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কানু কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের এক মুর্তিমান আতংকের নাম ছিল। তার নামের উপর বাগে মহিষ এক ঘাটে পানি খেত। হত্যা , ধর্ষণ ও সন্ত্রাস যার নিত্যদিনের সঙ্গী ছিল। পুরো চৌদ্দগ্রামে মাদকের ডিলার ছিল কানু। ছিঁচকে চোর থেকে কানূ আজ কোটি কোটি টাকার মালিক। একাধিক হত্যা মামলার আসামি হয়ে বীরদর্পে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াত কানু । কানুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অপেক্ষায় আছেন এলাকার ভুক্তভোগী জনগণ।