নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রথমজনের নাম “লক্ষ্মণ সিং” (Laxman Singh) official public name “লাকি বিশাত” (Lucky Bisht) এক্স ইন্ডিয়ান আর্মি সোলজার (প্যারেন্ট রেজিমেন্ট আসাম রাইফেলস), এক্স N・S・G কমান্ডো যিনি প্রেষণে R&AW তে AFO পদে এজেন্ট হিসেবে চাকুরী করেছে বহুকাল।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, সে একজন গোয়েন্দা অফিসার।তর সম্পর্কে যদি স্পেসিফিকালি বলি, সে মোসাদ ট্রেইন্ড অপারেটিভ। R&AW তে রিক্রুটমেন্টের পর তার ট্রেনিং সেইখানেই ওই কুখ্যাত সংস্থার দ্বারা হয়েছে। এদিকে, ইন্ডিয়ার দাবি মতে পুরো সাউথ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ স্নাইপার এই লক্ষ্মণ সিং।
তার সম্পর্কে জানতে পারি তার এক পডকাস্ট থেকে। সে এখন রিটায়ার্ড, ফিল্মমেকিং করে অলস আয়েসি জীবন অতিবাহিত করায় ব্যাস্ত আছে।
অনুসন্ধানে জানতে গিয়ে তার সম্পর্কে যখন আমি ঘাটাঘাটি করলাম, দেখলাম এই লোকটা নিজেই স্বীকার যাচ্ছে যে, সে বাংলাদেশে অপারেশন করেছে এবং তাকে যতবারই জিজ্ঞেস করা হয় যে তার গোয়েন্দা ক্যারিয়ারজুড়ে সবচেয়ে বেশি সে কোন দেশে এঞ্জয় করেছে, তখন সবসময় তার উত্তর থাকে “বাংলাদেশ”।
৩ জন ইনফর্মার মারফতে যাচাই করলাম যে ২০০৮ এর আগে লোকটার পোস্টিং ছিলো ভারতের নাগাল্যান্ডে একটি ইনফ্যান্ট্রি ইউনিটে। ২০০৮ এর মাঝামাঝি তাকে প্রেশণে সংযুক্ত করা হয় এই R&AW তে এবং কয়েক দিনের মাঝেই তাকে পোস্টেড করা হয় বাংলাদেশে।
সে বর্ডার ক্রস করে দেশে ঢুকে নি। সে প্লেনে করেই ব্যাবসায়ীর কভারে বাংলাদেশে এন্ট্রি নিয়েছিলো এবং বেশিরভাগ সময় মৌলভীবাজার জেলাতে অবস্থান করতো। থাকতো একটি পতিতালয়ের কাছে একটি আবাসিক হোটেলে।
অনুসন্ধানে আরো জানতে পারিগোয়েন্দাদের কাছে ইনফরমেশন ছিলো যে এই লোকটি পতিতালয়গুলোতে তার ইনফর্মার সার্কেল তৈরী করেছে এবং সেখানকার লোকাল দেহব্য-বসায়ীদের দিয়েই সে বিভিন্ন সেনসিটিভ তথ্য সংগ্রহ করতো এবং লোকাল আওয়ামী নেতাদের হানিট্র্যাপের মাধ্যমে ফাঁসিয়ে নিজের সোর্সের কাজ করাতো ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে।
আশ্চর্যজনকভাবে, এই ছদ্মবেশে লক্ষ্মণ সিং বেশ কয়েকটি পডকাস্টে এই পতিতালয়ে অপারেট করার কথা স্বীকার করেছে।
তারপর কী হয়েছে সেটা আর জানা যায় না তবে তাকে ২০০৯ এর মাঝামাঝি পাঠানো হয় N・S・G তে, এবং ঠিক এর পরেই তাকে বানানো হয় মোদির PSO (পার্সনাল সিকিউরিটি অফিসার)। এই বষয়টি ইন্ডিয়ান বেশ কয়েকটি ইন্টার্নাল সোর্স কনফার্ম করেছে।
অনুসন্ধানে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে তার সহকারী
দ্বিতীয় যে ব্যাক্তিকে দেখছেন, এই লোকটার নাম “রানদীপ রামেশ”। তৎকালীন “দ্যা গার্ডিয়ান” পত্রিকার সাউথ এশিয়া কোরেসপন্ডেন্ট।
ইনিই সেই ব্যাক্তি যে আমাদের BDR এর তৎকালীন DG, শহীদ মেজর জেনারেল শাকিল সাহেব নিহত হবার খবরটি সবার আগে ফ্ল্যাশ করেছিলো ভারতীয় মিডিয়াতে যখন আমাদের আর্মি, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও জানতো না যে ভেতরে কী হচ্ছে, মিডিয়া তো দূরের কথা!
যখন পুরো দুনিয়া অন্ধকারে পিলখানা নিয়ে, তখন সে সবার আগে জানলো! তাও আবার আমাদের মিডিয়ার সাথে কোনরকম ইনফো শেয়ার না করে ডিরেক্ট ইন্ডিয়ান মিডিয়াগুলোর থ্রুতে নিউজ করলো যে “Director General of B-D-R, Maj. Gen. Shakil has been ki*lled.”
এখন বুঝেন যে কেনো আওয়ামী সরকার ও হাসিনা তাদের পতনের আগ পর্যন্ত কাউকে এই বিষয়ে আওয়াজ তুলতে দেয় নি?কেন দেয় নি সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। বর্তমান গোয়েন্দা সংস্থার অনেক কর্মকর্তা এখনো এই ঘটনা উদঘাটন করতে গরিমসি করছে কারণ সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসলে অনেকের চাকরি থাকবে না। জাতি বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে অন্তবর্তীকালীন সরকারের দিকে। যদি ব্যর্থ হয় তাহলে মেজর শাকিলের আত্মা কবরে থেকে অবিসাপ দিতে থাকবে। পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশ একটি কলংক জনক জাতি হিসেবে রয়ে যাবে।