প্রধান উপদেষ্টার সহকর্মী পরিচয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় প্রতারক গ্রেফতার হলেন মুন্সীগঞ্জের কামাল খাঁন

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাবেক সহকর্মী পরিচয়ে এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডেমরা থানা পুলিশ।

এর আগে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ডেমরার ইউলুপ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম কামাল খান ওরফে শাহ কামাল খান। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায়। বর্তমানে তিনি ঢাকা কদমতলীর রায়েরবাগ এলাকায় থাকেন।
তিনি নিজেকে সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তি পরিচয় দিয়েও মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে

পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৬ জানুয়ারি দুপুরে শাহ কামাল খান ডেমরা জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক জিএম মুসা কালিমুল্লাকে কল দেন। আলাপচারিতায় তিনি নিজেকে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং প্রধান উপদেষ্টার এক সময়ের সহকর্মী বলে পরিচয় দেন। তিনি ট্রাফিক পরিদর্শক জিএম মুসার সঙ্গে দেখা করতে চান। দেখা করার কারণ জানতে চাইলে কামাল বলেন, তাকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। চাঁদা দেওয়ার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা না দিলে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইজিপির কাছে বিভিন্ন অনিয়ম উল্লেখ করে অভিযোগ দেবেন।

ওই দিন বিকাল ৩টায় অভিযুক্ত শাহ কামাল ট্রাফিক পরিদর্শকের মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে আবার টাকা দাবি করেন। পরে ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক বিষয়টি তার সহকর্মী এবং ঊর্ধ্বতনদের জানান।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, শাহ কামাল ওই ট্রাফিক পুলিশ জিএম মুসা ছাড়াও ডেমরায় আরও কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তার কাছে টাকা চেয়ে কল দিয়েছেন। ট্রাফিক পরিদর্শক ইমরান খানের কাছেও তিনি একই দিন ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।

শনিবার দুপুরে শাহ কামাল টাকা নেওয়ার জন্য জিএম মুসার কাছে মাতুয়াইল ইউলুপ সংলগ্ন পাকা রাস্তায় গেলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে জিএম মুসা কালিমুল্লা চাঁদাবাজির মামলা করেছেন।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, শাহ কামাল একজন প্রতারক। তিনি নিজেকে কখনো সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, কখনো আমলা আবার কখনো প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী পরিচয় দিয়ে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করতেন।