কে.এ.সাদাত : দেশের সর্বত্রই চলছে এখন জাতীয় সংসদ এবং স্হানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা। ০৫ আগষ্ট ২০২৪ এর পট পরিবর্তনের পরে মানুষের আলোচনার বিষয় বস্তু ছিলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে। কিন্তু কিছুদিন পূর্ব থেকে সরকারের একাধিক মহলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই স্হানীয় সরকারের নির্বাচন নিয়ে কথা ওঠে । আর তখন থেকেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। এই হাওয়া লেগেছে পিরোজপুর জেলার নেসারাবাদ (স্বরুপকাঠী) উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নেও।
ইউপি নির্বাচনী হাওয়া নিয়ে আমাদের নিয়মিত প্রতিবেদনে এবার উঠে এসেছে গুয়ারেখা ইউনিয়নের আগামী ইউপি নির্বাচনের চালচিত্র। আমাদের অনুসন্ধান চলছে শুধুমাত্র ইউপি চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীদের নিয়ে। গণমাধ্যম কর্মীর পরিচয় গোপন রেখে স্বাভাবিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই তুলে আনা হয়েছে আগামী নির্বাচন নিয়ে এলাকাবাসীর ভাবনা। আমাদের কথোপকথনের স্থান এবং ব্যাক্তি ছিলো বিভিন্ন চায়ের দোকান, অটোরিকশার চালক এবং যাত্রী, খেয়াঘাটের যাত্রী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্হানীয় নেতা ও কর্মী, স্কুল শিক্ষক, বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্য, যুব ভোটারসহ সর্ব স্তরের জনসাধারণ। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য বিশ্লষণ করে আমাদের এ প্রতিবেদন।
গুয়ারেখা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রব শিকদারের মৃত্যুতে ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই ঐ ইউনিয়নে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে বিভিন্ন নাটকীয়তার মাধ্যমে আব্দুর রব শিকদারের পুত্রবধু রাজউকের আলোচিত সমালোচিত ইন্জিনিয়ার পলাশ শিকদারের স্ত্রী ফারজানা আক্তারকে গুয়ারেখা ইউনিয়নবাসীর অভিভাবক নির্বাচিত করার লড়াইয়ে মাঠে নামানো হয়। ইউনিয়ন বাসী পলাশ পরিবার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে ঢাকার রপ্তানিমূখী পোশাক ব্যাবসায়ী ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক গাজী মিজানুর রহমানকে তাদের প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত করেন। আপাতত পলাশ অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে।
গাজী মিজানুর রহমান ১৭ মাস ধরে জনসাধারণের খেদমতে নিয়োজিত আছেন। এলাকাবাসীর সাথে সার্বিক আলোচনায় জানা যায় গাজী মিজানুর রহমান এলাকার মানুষের খেদমতে অনেক দিন পূর্ব থেকেই জড়িত। তিনি ইতিপূর্বে এলাকার শিক্ষিত অশিক্ষিত মিলিয়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের কর্ম সংস্থান করে দিয়েছেন। যাহা এলাকাবাসী ভুলে যায়নি। তিনি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহন করার পর জনগণকে সাথে নিয়ে পলাশের সৃষ্টি করা সন্ত্রাসী বাহিনীকে কোনঠাসা করে দেন। এলাকাবাসী বলেন আমাদের নিরাপত্তার জন্য তার মতো চেয়ারম্যান দরকার। কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান তিনি সবাইকে দিতে জানেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে কিছু নিতে আসেন নি। চেয়ারম্যান ব্যাবসার কাজে বেশিরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করায় ইউনিয়ন পরিষদের কাজে কোনো সমস্যা হয় কি-না ? এ প্রশ্নের জবাবে এক ইউপি সদস্য জানান, তাঁকে তো উপার্জন করতে হবে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোনো সুবিধা নেন না। তিনি সার্বক্ষনিক আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন। জরুরি প্রয়োজনে তিনি অল্প সময়ের মধ্যে এলাকায় চলে আসেন।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ও পরে যখনই ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক না কেন গাজী মিজানুর রহমানই পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। এলাকা ঘুরে বিভিন্ন শ্রেনি পেশার লোকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কোনো প্রার্থী তাদের অতীত অপকর্মের খেসারত দিতে নির্বাচনের নাম মুখেও নিবে না। বিএনপি দল থেকে একাধিক প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে গাজী মিজানুর রহমান রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে। পলাশ শিকদার জমানায় অবৈধ অর্থ দিয়ে মানুষের মধ্যে সুষ্ঠ ধারার নির্বাচন নষ্ট করে দিয়েছে। এলাকার জনগন মনে করেন, বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী মিজানুর রহমানের যে জনপ্রিয়তা রয়েছে তাতে প্রভাবমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জনগনই তাদের প্রয়োজনে পুনঃরায় তাকে নির্বাচিত করবে। এই ১৭ মাসে তিনি জনগণের খুব কাছাকাছি পৌঁছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। তিনি তার সেবা, সততা ও কর্ম দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে জনগণের ভালোবাসা অর্জন করেছেন। জনগণের সমর্থন নিয়েই ইউনিয়নে তার অবস্থান সুদৃঢ় করতে সমর্থ হয়েছেন।





