ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর জামালপুর মেষ্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে এই আ’লীগ নেতা নাজমুল হক বাবু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জামালপুর সদর উপজেলার ১৩নং মেষ্টা ইউনিয়নের হাজিপুর এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হক বাবু। তিনি বিগত দিনে স্বৈরাশাসক খুনী হাসিনার দুসর। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর পদে থাকার সুবাদে আ’লীগ নেতা ফারুক আহমেদ চৌধুরী ও মির্জা আজমের দোহাই দিয়ে এলাকায় ভয়ংকর দাপট দেখিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষদের কে জিন্মী করে রেখেছিল। শুধু তাই নয় মেষ্টা ইউনিয়নের দাপুটে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।

এই নাজমুল হক বাবু জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর পদ পেয়ে হয়ে যান একজন বড় মাপের নেতা সেই সুবাদে তিনি নানাবিধ অন্যায় ও অপকর্ম কাজ করলেও তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি। এমনকি ওই ইউনিয়নে গ্রাম্য শালিস-বৈঠক সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার একক আধিপত্য বিস্তার ছিল এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের নামে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় কোটি টাকা। এই আ’লীগ নেতা নাজমুল হক বাবুর ছিল পালিত ক্যাডার বাহিনী। তাদের দিয়ে সাধারণ লোকদের ওপর হামলা-মামলা সহ নির্যাতন চালানো হতো। ২০১৮,২০২৪ এর একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট কেন্দ্র দখল করে সিল মারার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তৎকালীন সময়ে এই নাজমুল হক বাবু’র নেতৃত্বে হাজিপুর বাজার বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল এবং প্রকাশ্যে দিবালোকে জিয়াউর রহমানের ছবি আগুন দিয়ে পুড়ে এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন।

এ ছাড়াও তিনি ছাএ জনতার উপর হামলার মদদদাতা,,,,, ১৩নং মেষ্টা ইউনিয়নে যাতে ছাএ জনতা রাজপথে নামতে না পারে সেই নীলনকশা করেছিল এই নাজমুল হক বাবু।
তিনি এখনো বীরদর্পে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলায় আ’লীগের দুসর ইউপি চেয়ারম্যানরা কর্মস্থলে না থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন অথচ এই নাজমুল হক বাবু এতই প্রভাবশালী যে তিনি এখনো তার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সহ প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছেন। ওই আ’লীগ নেতা হাজিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি থাকাকালীন সময়ে ওই বিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে শিক্ষক নিয়োগের নামে ও বিদ্যালয়ের ফান্ডের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া হাজিপুর বাজারের উন্নয়নমূল ফান্ডের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন বলে জানাগেছে। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। তার অন্যায় অপকর্মের বিচার চায় ভূক্তোভোগী এলাকার জনগণ।