নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ রাজধানী ডেমরা প্রতিবাদী ক্লাব গলিতে মৃধা ভবন মালিক ইন্তেখার আলম ও আরিফা নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করার অভিযোগে একাধিক নোটিশ প্রদান করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক। বাড়ির মালিক খোরশেদ আলম মারা গেলে স্ত্রী আরিফা ও ছেলে ইন্তেখার আলম গংরা ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন। আরিফা সরকারি কর্মচারী হয়ে সরকারের নোটিশ অবজ্ঞা করে আইন লঙ্ঘন করেছেন। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।নকশা বিহীন বাড়িতে জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে বসবাসকারীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। রাজধানী জুড়ে আগুনের ভয়াবহতা রোধে মাঠে কাজ করছেন রাজউকসহ ফায়ার সার্ভিস এর একটি ইউনিট। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অ্যাকশন নোটিশ পরে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করলেও কোনো জবাব না দিয়ে সময় হরন করে আসছেন এ অসাধু ভবন মালিক ইন্তেখার আলম এবং তার মাতা আরিফা বেগম। রাজধানীতে আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে গেলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছেন রাজউক ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। রাজধানী জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকলেও মৃধা গলিতে অভিযানের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। এতে অসাধু ভবন মালিকরা অতিবেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
জানা গেছে অবৈধ ভবন নির্মাণের অভিযোগে মৃধা ভবন প্রতিবাদী ক্লাব গলি মাতুয়াইল মৌজার ডেমরা থানাধীন রাজউক (ক) স্মারকের মাধ্যমে নির্মাণাধীন ইমারতটি কেন ভেঙে অপসারনের নির্দেশ দেয়া হবেনা তৎমর্মে ইমারতের মালিক নির্মাণকারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। নোটিশ পেয়েও ভবন মালিক জবাব না দিয়ে নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছেন। যাহা ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৫২ এর সংশোধনীসহ এর ৩ বি ধারার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়াও ওই ভবনে ৪০ ভাগ জমি ছেড়ে ভবন নির্মাণের নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। সম্পূর্ন অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় চলছে নির্মাণ কাজ।
¯স্থানীয় সূত্র বলছে , নোটিশের কার্যকারীতা গ্রহণে রাজউক একাধিক নোটিশ প্রদান করলেও অসাধু ভবন মালিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে আসছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের ভবন মালিক ক্ষোভ প্রকাশ করে গণমাধ্যম কে বলেন , রাজউক একাধিক নোটিশ দিলেও আমলে না নিয়ে নিজের ইচ্ছেমত কাজ করায় এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক একটি আস্থাশীল রাষ্টীয় প্রতিষ্ঠানকে শুরু থেকে অবজ্ঞা করে আসছেন। এ ভবন মালিকের তুঘলকি কান্ডে হতাশা প্রকাশ করে বলেন , নকশা ছাড়া বাড়ি আবার তিতাস গ্যাসের চুলাতেই রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম। যেকোনো সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। দুর্ঘটনা ঘটলে শত শত বসবাসকারীর প্রানহানি ঘটবে। এখন বন্ধ করা সময়ের দাবি।
এসব অনিয়মের বিষয় জানতে চাওয়া হলে আরিফা বেগম গণমাধ্যম কে বলেন , আমি জানিনা আমার স্বামী নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। তিনি মারা যাওয়ার পর আমরা কিছু বলতে পারছিনা। কথিত সাংবাদিক নামধারী প্রতিবেদক কে নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
