সাবেক আওয়ামী সরকারের বিতর্কিত দুর্নীতিবাজ জহির সিন্ডিকেট এখনো বহাল তবিয়তে !
মোস্তাফিজুর রহমান : জুলাই-আগষ্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন সংগ্রামের ফলে সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পরও আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সহ কিছু কিছু সরকারি আধা-সরকারী প্রতিষ্ঠান সমুহ থেকে বদলি ও অব্যাহতি হলেও প্রশাসনের অনেক স্থানে প্রেতাত্মারা এখনো বহাল তবিয়তে থেকে তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন । অভিযোগ উঠেছে সৌদি আরবের জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের হজ উইংয়ে সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মাদের গায়ে এখন পর্যন্ত আঁচড় লাগেনি।
বরং দূর্দান্ত প্রতাপশালী সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রেতাত্মা ও আস্থাভাজন হিসেবে বিশেষ পরিচিত মক্কা হজ মিশনের কন্স্যুলার হজ এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব কারাবন্দি জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই মো. জহিরুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র লীগ নেতার দাবিদার হজ উইংয়ের (কনসাল হজ) আসলাম উদ্দিন এখনো বহাল তবিয়তে। এতে সৌদি আরবের প্রবাসী কমিউনিটির মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। সৌদী আরব থেকে একাধিক সূত্র এ৷তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মক্কা-মদিনায় বাংলাদেশি হজ অফিসে ১২জনকে স্থায়ীভাবে বিভিন্ন পদে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগমতে, সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মা চিহ্নিত কন্স্যুলার হজ জহিরুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র লীগ নেতা কন্স্যুলার হজ আসলাম উদ্দিনের আর্শিবাদে মক্কা-মদিনায় বাংলাদেশি হজ মিশনের ক্লিনার থেকে অফিস সহকারী পর্যন্ত সকল পদে আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়ায় এবং নিকট আত্মীয় ও নিজ জেলার নিয়োগ পেয়েছেন অধিকাংশ কর্মচারী।
মক্কা-মদিনায় বাংলাদেশি হজ অফিসে ১২জনকে স্থায়ীভাবে বিভিন্ন পদে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
নিয়োগ সার্কুলারের বয়স উল্লেখ ছিলে ২১ থেকে ৩০ বছর কিন্ত কন্স্যুলার হজ জহিরুল ইসলামের আপন বোনের দেবর সরোয়ারের বয়স ৫০ বছর হলেও নিয়োগ পেয়েছেন হজ মিশনের ১ লাখ ৭৯ হাজার টাকার বেতনে। যার সউদীতে পেশা বাসার দারোয়ান।
পিরোজপুর তৎকালীন আওয়ামী লীগের এম পি আব্দুল আউয়ালের সুপারিশে নিয়োগ দেয়া হয়েছে একই জেলার সুমনকে। গত ২২ অক্টোবর কন্স্যুলার হজ মো.: জহিরুল ইসলাম জেদ্দা, মক্কা, মদিনা হজ্জ অফিসে ১২ জনকে স্থায়ী ভাবে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
কিন্তু যাদেরকে নিয়োগ দিয়েছেন বেশিরভাগই বয়স ৪০ বছরের উপরে। নিয়োগে আত্মীয়করণ ও স্বজনপ্রীতি এলাকার এবং মক্কায় মামলার আসামি তাদেরকে নিয়োগ দিয়েছেন। কন্স্যূলার হজ মো. জহিরুল ইসলাম তার বাড়ি বরিশাল হওয়ার কারণে বরিশাল বিভাগের ১২ জনের অনেকেরই লোক নিয়োগ করা হয়েছে। আনোয়ার হোসেনের বাড়ি কন্স্যুলারের এলাকার মদিনা হজ অফিসে চাকরিরত।
আব্দুল্লাহ মাঝি বাড়ি পিরোজপুর তিনি সউদীতে মামলার আসামি তাকে সর্ব প্রথম কনসুলেট হজ উইং থেকে ভিসা দেয় এবং গত বছর সউদীতে প্রবেশ কালিন মামলা থাকায় জেদ্দা ইমিগ্রেশন থেকে একই ফ্লাইটে তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। বিতর্কিত ওই ব্যক্তিকে পুনরায় ভিসা দিয়ে সৌদী নেয়ার জন্য কন্সুলার হজ জহিরুল ইসলাম মরিয়া। যার কারণে দেশের ভাবমর্যাদা ইতিপূর্বে নষ্ট হয়েছে। কন্স্যুলার হজ মো. জহিরুল ইসলাম ও কনসাল হজ মো. আসলাম উদ্দিন তাদের মেয়াদ গত ৮ জানুয়ারী শেষ হবার কথা।
সচেতন মহলের দাবি শুধুমাত্র সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রেতাত্মা চিহ্নিতদের বাড়ি ভাংচুর বা গুড়িয়ে দিলেই বাংলাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের দৌরাত্ম বন্ধ হবে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সরকারের প্রতিটি পর্যায়ে চালাতে হবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী নিধনের শুদ্ধি অভিযান। তা না হলে বাংলাদেশ কখনো ই ফ্যাসিবাদ মুক্ত হবেনা।