ধানমন্ডি ৩২ নম্বর কিভাবে শেখ মুজিব দখল করলেন তার ইতিহাস, নরকের স্থান নারকিয় উচ্ছেদ

এম এম তোহাঃ
মুক্তি”যুদ্ধে ধ”র্ষিতা
মেয়ের পিতার জায়গায় আমার নাম লিখে দিও আর ঠিকানা দিয়ে দিও ধানম’ন্ডি ৩২ নম্বর
বাঙালি এইটা জানে, কিন্তু যেইটা জানে না তা হচ্ছে-
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে থেকে পাকিস্থান সেনাবাহিনী ও ভা-রতীয় লুটে’রা বাহিনী চলে যাওয়ার পর যখন বাংলাদেশী সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করছিল।
তখন গাজিপুরের এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে মোজাম্মেল এক নববিবাহিতা কিশোরী মেয়েকে খুবলে খুবলে ধ’র্ষণ করে; সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে গণ’ধ’র্ষণ করে। তিনদিন পরে ওই মেয়ের লাS পাওয়া যায়।

ধর্ষি’তা মেয়ের বাবা সেনাবাহিনীর কাছে বিচার দিলে তাঁরা জিপ নিয়ে গিয়ে ছিচকে বাটপার মোজাম্মেইল্লাকে এক পতিতা এলাকা থেকে ধরে এনে সেনা ক্যাম্পে আটক করে বিচারের উদ্যোগ নেয়।

সেই সময় সেনা কমান্ডারের কাছে সেই কথিত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ধ’র্ষিতাদের স্বঘোষিত পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ফোন আসে।”এই তোরা নাকি হকের ছেলেকে নাকি ধরে এনেছিস?”সেনা অফিসার উত্তর দিল -“জ্বি স্যার একটা কিশোরীকে নি-র্মমভা’বে ধ’র্ষণ করেছে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে। তারপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।”
“আচ্ছা ও কিছু না এখন মোজ্জাম্মেলকে ছেড়ে দে। বয়স কম; রক্ত গরম, মাত্র যুদ্ধ শেষ হয়েছে। আর ওর বাপ দলের জন্য অনেক করেছে। ছেড়ে দে।”
-কিন্তু স্যার!
-“আরে বললাম তো ছেড়ে দে। আমি কোনো বাড়াবাড়ি চাই না!”

অগত্যা ছাড়া পেল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ধর্ষক মোজাম্মেইল্লা ওরফে আ ক ম মোজাম্মেল হক। যাকে হাসিনা সরকার এই বীরত্বের জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বানিয়ে সম্মানিত করেছিল। আ ক ম
মোজাম্মেল হক মন্ত্রী হ ওয়ার পর সুন্দরী নারীদের শয্যায় নিয়ে ভোগ করতেন রাতের পর রাত। অসংখ্য উঠতি বয়সী মেয়েরা তার কাছে গিয়ে গা লেপ্টে দিয়ে কাজ আদায় করতেন। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ধর্ষিতার বাবার কাছ থেকে জোর করে নিয়েছেন শেখ মুজিব তাতে আ ক ম মোজাম্মেল হকের অবদান কম নয়। এভাবে অনেক জায়গা জমি দখল করে নিয়েছে, মতিঝিলের বাঙ্গালার বাণী ভবন। তার পাশের ভবনটি কাদের সিদ্দিকী এখনো দখল করে রেখেছেন। এছাড়াও ধানমন্ডি, গুলশান ও বনানীতে অনেক ভবন শেখ পরিবারের কব্জায় আছে। শেখ হাসিনাকে দেশে প্রত্যাবর্তন করার পিছনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অবদান ছিল। শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করার কয়েক দিন পর খুন হন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। শেখ হাসিনার প্রতি দয়া দেখানো কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে প্রমাণ করলেন শেখ হাসিনা একজন খুনী। আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে শেখ হাসিনার সাথে সহাবস্থানে যুগপৎভাবে আন্দোলন করে জেনারেল এরশাদকে পতন ঘটিয়ে নির্বাচনে জয় লাভ করে ক্ষমতায় আসেন। পালাক্রমে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত রেখে দেশে অসংখ্য ঘটনার জন্ম দিয়েছে। ঘর ছাড়া করেছে বেগম খালেদা জিয়া ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে। এখন যারা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের জন্য মায়া কান্না করেন তখন তারা কোথায় ছিলেন?