বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহ

বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহ তদন্তে প্রমাণিত হলেও তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশ অনুযায়ী সুশাসন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রশাসক নিয়োগ না করে দুই বছর আগের পুরাতন আবেদনের প্রেক্ষিতে অবৈধ পরিচালনা পর্ষদের অবৈধ কার্যক্রমকে বৈধতা দিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কমিটি গঠনের বিষয়ে ঢাকা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রকনুল হকের মতামত জানতে দৈনিক কালের ছবি’র পক্ষ থেকে তার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে তার কাছে জানতে চাইলেও কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির অবৈধ পরিচালনা পর্ষদকে সহযোগিতা করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উপপরিচালক (নিবন্ধন) আইয়ুব খান। তবে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলেও মতামত দিতে বিভিন্ন অজুহাতে গড়িমসি করতে থাকেন আইয়ুব খান। পরবর্তীতে তিনি এই মর্মে মতামত দেন যে, ডিজি স্যারের সাথে আলাপ হয়েছে। ডিডি ঢাকা বিষয়টির উপর তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। প্রাপ্ত তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিডি ঢাকা-কে বলা হয়েছে। এখানে একইসঙ্গে দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন সাংঘর্ষিক বলে অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা মতামত দিয়েছেন।
সমাজসেবা অধিদপ্তর হলো ফিল্ড পর্যায়ের সকল অফিসের নিয়ন্ত্রণকারী অফিস। নিয়ন্ত্রণকারী অফিস কর্তৃক নিয়োগকৃত তদন্ত কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করে প্রতিবেদন ধামাচাপা দিয়ে জেলা পর্যায়ের অফিস থেকে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন এটাই প্রমাণ করে যে, এখানে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। উল্লেখ্য যে, ১৯৭৩ সালে ‘বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি’ সমাজসেবা অধিদপ্তরের সদর দপ্তর থেকে নিবন্ধিত হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে
কালের আবর্তে দখলদারদের দৌড়াত্ম্যের অবসান হবে কিনা এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উপপরিচালক (নিবন্ধন) আইয়ুব খান এবং ঢাকা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রকনুল হকের বিষয়ে গোপন তদন্ত চলছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নবজাগরণ ডটকম এর পক্ষ থেকে উপপরিচালক (নিবন্ধন) আইয়ুব খানের অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতায়, ঘুষবাণিজ্য এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। যা পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।
আইয়ুব খানের অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ সম্পদের বিষয়ে সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা গেছে।