নবীগঞ্জে শালিস বিচারকদের রায় না মেনে হামলা,নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অসহায় পরিবার

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি।। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ৭নং ইউ/পির,করগাঁও গ্রামের আপন চাচাতো দুই ভাইয়ের মধ্যে বসত বাড়ি নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত  বিরোধ লেগেই আছে। উভয়ের বিরোধ সমাধান হলে ও প্রতিপক্ষ আবার বিষয়টি উত্তপ্ত  করেছেন,জানা যায়, উপজেলার করগাও গ্রামের মৃত লতিব উল্যাহর ছেলে মোঃ ফারুক মিয়া ও বড় ভাই মৃত ছুরুক মিয়ার ছেলে জাকারিয়া গং  ও দ্বিতীয় পক্ষ, খতিব উল্যাহর ছেলে ইসাক মিয়া, আব্দুল সালাম ও মোশাহীদ গং দের মধ্যে বসত ভিটা ও বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিন আনুমানিক ৩০ বছর যাবত  ঐ জায়গা ভোগ দখল করে আসছেন । এর জের ধরে বিরোধ লেগেই  আছে, চাচাতো ভাই ইসাক মিয়া ও আব্দুল  সালাম গংদের সাথে,বিবাদীগন চরম জুলুম বাজ,ও  ক্ষমতাশালী থাকায় তাদের অন্যায় অত্যাচারে অতিষ্ঠ অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ। তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ কিরতে সাহস পায় না, করলে ও তারা চরম উত্তেজিত ও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। মানুষ কে খুন, গুম, শারীরিক মানষিক ভাবে ও অত্যাচার করে থাকে। বিবাদী সালাম গং পুর্বে কর্তব্যরত একজন পুলিশ অফিসার তাদের বাড়িতে গেলে তারা লাঞ্চিত করে। ওদের অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে তার আপন চাচাতো ভাই ফারুক মিয়া নিরুপায় হয়ে বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তদন্ত সাপেক্ষ বিষয় টি প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হওয়ায় বিবাদী গংদের কে ডেকে এনে সমাধানের জন্য বলেন। বিবাদী গন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে অঙ্গিকার বদ্ধ হয়ে এলাকার সামাজিক বিচার শালিসগনদের নিয়ে আমার চাচাতো ভাই ফারুক মিয়ার জমি জমা বুঝিয়ে দিব ও শালিস বিচারক যে রায় দিবে সেটা মেনে নিবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন! উল্লেখ্য তারিখে করগাঁও গ্রামের প্রবীন শালিস বিচারক মাহমুদ মিয়ার সভাপতিত্বে অত্র এলাকার আরও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হয়ে বিচারিক সভা পরিচলানা করা হয়। উভয় পক্ষের বয়ানের প্রেক্ষিতে ও স্বাক্ষীগনের জবানবন্দিতে, অত্র বিচারকদের সম্মতিতে মাহমুদ মিয়া রায় পেশ  করেন, এবং বাদী বিবাদীর সম্মতিক্রমে ৩০০ টাকার স্টাম্পের মধ্যে অঙ্গিকার নামা সম্পাদন করেন।পরবর্তীতে বিবাদী সালাম গংরা অত্র শালিস বিচারকদের রায় না মেনে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে উত্তেজিত হয়ে নিরীহ ফারুক মিয়াকে হুমকি ধামকি দেয়,এমতাবস্থায় বিজ্ঞ শালিস বিচারকগন সেখান থেকে অপমান অপদস্ত হয়ে বাচার জন্য চলে আসেন।শালিস বিচারকগন চলে আসার পরে তান্ডবলীলা শুরু করেন, বিবাদী সালাম গংরা,পরে  ঝাপিয়ে পড়ে অসহায় ফারুক মিয়া ও তার পরিবারের উপর। দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে এলো পাতারি আঘাত করতে থাকে ফারুক মিয়ার উপর, অন্যজন শালিস বিচারক আসে ফারুক মিয়ার উপর অমানবিক জুলুম অত্যাচার ও নির্যাতন করেন। এদিকে ফারুক মিয়াকে আহত অবস্থায়  বাচার জন্য তার নিজ ঘরে চলে গেলে সেখানেও সালাম বাহিনী আক্রমণ করে, ফিকল রামদাও ইট পাটকেল ঘর বাড়ি ভাংচুর করে এবং ঘরের মধ্যে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে, অন্যদিকে  নিরাপদে বাচার জন্য থ্রীপল নাইনে ফোন দিলে নবীগঞ্জ থানা থেকে একদল ফোর্স নিয়ে এস, আই সুব্রত আহত ফারুক মিয়াকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। এদিকে আবারও আশংকা করা হচ্ছে, যে কোনো সময় পুনরায় সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এই অসহায় পরিবার, সালাম গংদের অন্যায় অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারছে না, চিকিৎসা নিয়ে আবারও গ্রামের মুরুব্বীয়ানদেন সাথে আলাপ আলোচনা করে ফারুক মিয়া নিজে বাদী হয়ে সালাম মিয়া গংদেন বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এই অসহায় পরিবার। এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সুশিল সমাজের কাছে এসব সন্ত্রাসী বাহিনীদের বিচারের দাবী জানাচ্ছেন ফারুক মিয়া ও তার পরিবার!