উত্তরা প্রেসক্লাবে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের পুর্নবাসন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক :
গণমাধ্যমে সংস্কারের কথা বললে ও এখনো তেমন কোন সংস্কার চোখে পড়েনি। ছাত্র আন্দোলনের পর দেশে মানুষ ন্যায় বিচার পেতে শুরু করেছে।ছাত্রদের দাবি ছিল কোন আওয়ামী লীগ,ছাত্রলীগ এ দেশে রাজনীতি করতে পারবে না।ইতিমধ্যে ছাত্রলীগ কে সরকার বাতিল করেছে কিন্তু আওয়ামী লীগের বাতিলের জন্য ছাত্র আন্দোলন করে যাচ্ছে। এরি মধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী উত্তরা প্রেসক্লাব নির্বাচন হয়ে গেল।সেখানে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সক্রিয় সদস্য আলাউদ্দিন আল আজাদ সভাপতি হয়, যার ইন্দনে ছিল জামায়াতের সক্রিয় সদস্য বদরুল আলম মজুমদার। তিনি স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতাদের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এই জালিয়াতি করেছে বলে জানা গেছে।গত ৫ ই আগস্টের পর আলাউদ্দিন আল আজাদ আরো হিংস্র হয়ে উঠে যা তার ফেসবুকে পোস্টে দেশের জনগনের চোখে পড়েছে।পরে সে পোস্টগুলো ডিলেট করে দেয় আলাউদ্দিন আল আজাদ। কিন্তু কিছু জ্বালাময় পোস্ট এখনো তার ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে। জানাগেছে এর অন্তরালে কাজ করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাবের সাবেক স্বঘোষিত সভাপতি বদরুল আলম মজুমদার। তার কারনে উত্তরা সাংবাদিকরা বিভিন্ন হামলা মামলা শিকার হয়েছে। অনেকে জেল খেটেছে। তার মতের অমিল হলেই মামলার ভয় দেখিয়ে সুবিধা নিতো বদরুল।সর্বশেষ তার আক্রোশের শিকার মানবকন্ঠের সাংবাদিক ও উত্তরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাসেল খান।পুলিশ ডেকে তাকে উত্তরা জসিমউদদীন পাকার মাথা থেকে ধরিয়ে দেয়া হয়।উত্তরা বিএনপির নেতারা ও বদরুলের প্রতি নাখোশ। বিভিন্ন সময় নেতাদের ভয় দেখিয়ে ও গ্রুপিং কে কাজে লাগিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া তার কাজ।গত স্বৈরাশাসক শেখ হাছিনার আমলে বদরুল এমপি হাবিব হাসাবের পিআরও হিসেবে কাজ করেছে। সে সময় অনেক বিএনপির নেতাকে জেল জুলুম সহ্য করতে হয়েছে। এছাড়া বিএনপির অনেক হেবিয়েট নেতাদের অভিযোগ ক্লাব ঘরের কথা বলে এ পর্যন্ত ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বদরুল।ক্লাব ঘর তার একটি পুঁজি হিসেবে কাজ করছে।ইচ্ছে করলে সে ক্লাব ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারতো কিন্তু সে তা করেনি।বরং ক্লাব ঘর দেখিয়ে সে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।বদরুল এর অপ-সাংবাদিকতা থেকে মুক্তি চায় নেতাকর্মীরা।
উত্তরা প্রেসক্লাব সংগঠন নিয়ম অনুযায়ী একজন সভাপতি ২ বারের বেশি থাকতে পারবে না।সে কারনে নিজের জন্য একটি পদ তৈরি করেন বদরুল।সে বর্তমানে সিনিয়র সহ সভাপতি আর সভাপতি আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য আলাউদ্দিন আল আজাদ।
এবিষয়ে উত্তরা ছাত্র আন্দোলন প্রথম সারির নেতাকর্মীরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না।তারা খুব শিগগিরই এবিষয়ে মানববন্ধনে ডাক দিবেন বলে জানা গেছে।