কে.এ.সাদাত : পিরোজপুরের নেসারাবাদ (স্বরুপকাঠী) উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী মিজানুর রহমান। শতভাগ রপ্তানিমূখী পোশাক কারখানা জি টেক্স লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। মানুষের উপকার করেই তৃপ্তি পান এই সফল ব্যাবসায়ী। অন্যের উপকার করাই যেন তার নেশায় পরিনত হয়েছে। যখন থেকে তার উপকার করার মতো অবস্থা এবং অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে তখন থেকেই তিনি সমাজ সেবায় ব্রতী হন। কোনো রাজনৈতিক বিতর্ক তাকে কখনোই স্পর্শ করতে পারে নি। নেসারাবাদ উপজেলার পাটিকেলবাড়ী গ্রামের গাজী বাড়িতে জন্ম নেয়া গাজী মিজানুর রহমানের শৈশব কৈশোর কেটেছে নিজ গ্রামেই। এলাকার সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িয়ে পড়েন কিশোর বয়স থেকেই। পিতার কাছেই পারিবারিক ব্যাবসায় হাতেখড়ি। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পারিবারিক ক্ষুদ্র ব্যাবসা থেকে শুরু করে হয়ে ওঠেন সফল রপ্তানিমূখী তৈরী পোশাক ব্যাবসায়ী। সদালাপী এবং সদা হাস্যোজ্জল এই দানবীর ও সমাজসেবক তার উপকারী কর্ম কান্ডের জন্য সর্ব মহলে গ্রহনীয় ব্যাক্তিতে পরিনত হন।
এলাকায় তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে ব্যাবসার প্রয়োজনে তিনি ঢাকায় বসবাস করলেও নিজ জন্ম সহান থেকে কখনোই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হননি। তার এলাকার ৪ হাজারেরও বেশি লোকের কর্ম সংস্থান সৃষ্টি করে তিনি এক বিরল দৃষ্টান্ত স্হাপন করেন। ইতিপূর্বে পিরোজপুর জেলার এমন কোনো ব্যাক্তি এই দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছে বলে নজির নেই। এলাকার পরিচয়ে যে কোনো নারী পুরুষ কাজের জন্য তার নিকট উপস্থিত হলেই তার যোগ্যতা অনুযায়ী কর্ম সংস্থানের ব্যাবস্থা করেছেন তিনি। এলাকার যে কোনো লোক অসুস্থ কিংবা আর্থিক সংকটে পড়লে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি দান করে চলেছেন অকাতরে। লোক দেখানো কোনো দান ও সমাজসেবামূলক কাজ তিনি সর্বদাই এড়িয়ে চলেন। এলাকার অবকাঠামোগত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার অবদান থাকলেও তিনি ফটোসেশানের মাধ্যমে প্রচার করাকে সবসময়ই নিরুৎসাহিত করেন। তারপরও তার নাম জানেনা এলাকায় এমন লোক খুব কমই আছে। তিনি এলাকায় সর্বমহলে মিজান গাজী নামেই সুপরিচিত।
এলাকায় জনপ্রিয়তারও শীর্ষে রয়েছে তার নাম। যেখানে কোনো লোক যখন ইউপি সদস্য নির্বাচন করার জন্য রাজনৈতিক নেতা ও এলাকার প্রভাবশালীদের হাতে পায়ে ধরতে হয়। সেখানে এলাকার জনসাধারণ তাকে এক প্রকার জোর করে ধরে এনে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। তিনি মানুষের কাছে কতখানি জনপ্রিয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়াই তার প্রমান বহন করে। ঐ নির্বাচনে একদিকে অবৈধ অর্থ আর আওয়ামী লীগের সর্ব মহলের প্রভাব। আর অন্য দিকে সাধারণ জনগণের সমর্থনে নিয়ে বিজয়ী হন গাজী মিজানুর রহমান। ২০২৩ সালের ঐ উপনির্বাচন সম্পর্কে গাজী মিজানুর রহমান বলেন আমি কখনো কল্পনাই করিনি আমি স্হানীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহন করব। কিন্তু এলাকার জনগনের ভালো বাসার কাছে আমাকে আত্মসমর্পন করতে হয়েছে। তাদের অনুরোধ আমি ফিরিয়ে দিতে পারিনি। এজন্য ইউনিয়ন বাসীর নিকট আমি কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে মাঠে নামিয়ে আমার সাথে বেইমানি করেনি। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমাকে নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে বিজয়ী করতে এলাকাবাসী সহযোগিতা করেছেন। তিনি আরো বলেন, জনপ্রতিনিধি হতে হলে কোনো রাজনৈতিক ব্যানার থাকতে হবে এমনটা নয়। জনগণের সাথে সম্পর্ক থাকাই মূখ্য।
ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর গাজী মিজানুর রহমানের কর্ম ক্ষেত্র আরও বেড়ে যায়। একদিকে নিজের ব্যাবসা অন্যদিকে ইউনিয়ন পরিষদ। দুটোই তিনি সমান তালে সামলাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে তার মেধা, সততা এবং দৃঢ় মনোবলকেই সর্বোচ্চ প্রধান্য দিচ্ছেন। ইউপির দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি ইউপির কর্ম কান্ডেও আমূল পরিবর্তন আনেন। যেহেতু তিনি দিতেই আনন্দ পান নিতে নয়। এক ইউপি সদস্য জানান তার সাথে কাজ করে আমরা আনন্দ পাই। কোনো কাজে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে তিনি নিজে থেকে তা বহন করেন। কখনো অন্য কোনো ফান্ড থেকে সমন্বয় করেন না।
এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করে জানা গেছে তার মতো একজন সর্ব মহলে গ্রহন যোগ্য ব্যাক্তি এই স্বল্প পরিসরের জনপ্রতিনিধি হিসেবে বেমানান। এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে আলাপ করে আরও জানা যায় তারা গাজী মিজানুর রহমানকে নিয়ে পিরোজপুর ০২ আসনের সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার জন্য অচীরেই প্রচার প্রচারনায় মাঠে নামবেন। এ বিষয়ে সাধারণ জনগণের মতামত হলো তাকে নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ( নেসারাবাদ, কাউখালী ও ভান্ডারিয়া) উপজেলা নিয়ে গঠিত পিরোজপুর ০২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করব।
( গাজী মিজানুর রহমানের সংসদ নির্বাচনী ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত থাকছে আগামী সংখ্যায়)