সজিবের প্রেমের ফাঁদে সর্বস্ব হারাচ্ছে সুন্দরী নারীরা

তৌহিদুর রহমান মোল‍্যাঃ

কথায় আছে, বরিশালের পোলা আশি টাকা তোলা। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের বাসিন্দা সজীব মিয়ার বিরুদ্ধে ধনাঢ‍্য সুন্দরী নারীদের টার্গেট করে সর্বস্ব লুটে নেয়ার নানা অভিযোগ উঠেছে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়ার নানা চাঞ্চল্যকর তথ‍্য পাওয়া গেছে ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে। সুদর্শন এই প্রতারক ফেসবুক ও ইমুতে পরিচিত হয়ে বিবাহিত ও অবিবাহিত অসংখ্য নারীর সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে তাদেরকে ছুড়ে ফেলেছেন।এ তালিকা থেকে তার মামাতো বোনও বাদ পড়েনি।সুত্র জানিয়েছে তার ওই মামাতো বোনের নাম ইলা।সে তার প্রথম স্ত্রী।ইলা তার সংসারে থাকতেই সজীব প্রেমের ফাঁদে ফেলেন ঢাকার মিরপুরের এক বিবাহিত নারীকে। মাকসুদা নামের ওই নারীকে তার স্বামীর সংসার ভেঙ্গে এনে ৪ বছর রক্ষিতা হিসেবে ব্যবহার করার পর তার চাপে পড়ে বিয়ে করেন।জানা গেছে, তার থেকে ১২ লাখ টাকা ১০ ভরি স্বর্ন কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে ১২ বছর তার সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন করেছে।এরপর ব্যবসার সুবাদে কুমিল্লায় যেয়ে নাহার নামের এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে তার অনেক টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে আসে। ঢাকার সাভার থেকে সুমি নামক মহিলাকে ৫ বছরের মেয়ে সহ বাগিয়ে এনে বিষয়ে করে। তারও সাড়ে ৫ লাখ টাকা ও সাড়ে ৭ ভরি স্বর্নালংকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র হাতিয়ে তার সাথেও সম্পর্ক ছিন্ন করে। এভাবে সে বরিশালেরও অসংখ্য নারীদের সাথে প্রেমের অভিনয় করে তাদের থেকে লক্ষ- লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে কোটিপতি বনে গেছেন। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে এই লেডি কিলার সজীব হিরণ পয়েন্ট কর্ণকাঠি তার সজীব ট্রেডিং কর্পোরেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় নাসরিন নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী’র সাথে প্রেমলীলা করছে। সূত্র আরো জানায় একটা সময় জানা যাবে, প্রবাসীর সকল কষ্টার্জিত আয় তার স্ত্রী নাসরিনকে কব্জা করে হাতিয়ে সটকে পড়েছে ওই যৌন পিপাসু নারী লোভী প্রতারক।শুধু সময়ের অপেক্ষা মাএ। ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে,এসব প্রতারিত নারীরা স্বামীর সংসার হারিয়ে কেউ আত্মহত্যার পথ আবার কেহ নিষিদ্ধ পল্লীর অন্ধকার পথ বেছে নিচ্ছেন। সূত্র আরো জানিয়েছে,সজীব এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি নারীকে প্রতারিত করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এসব টাকার একটি অংশ খরচ করে সজীব বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হিরণ পয়েন্ট কর্ণকাঠির খান মার্কেটে সজিব ট্রেনিং কর্পোরেশন নামে বিশাল হার্ডওয়ারী দোকান করেছেন।আর ওই দোকানে বসিয়েছে তার বাবা ধলু মিয়াকে। সুত্র জানায় সে এক প্রেমিকাকে নিঃশ্ব করে অন‍্য প্রেমিকাকে নিয়ে বিদেশে হানিমুন করে। বিত্তবান নারীদের সাথে প্রতারণা করে সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলাই তার নেশা ও পেশা। তার পরিচয় জানা যায়, সজীব বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার নলুয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ধলু মিয়ার ছেলে।তার মাতার নাম রাশিদা বেগম এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নং-৩৭০ ৫৫০ ৮৬৭৩।এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে সজীব এর মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।তবে এই প্রতারকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব‍্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা।