স্বরুপকাঠীতে প্রতিপক্ষের উপর সন্ত্রাসী হামলা বিএনপি অফিস ভাংচুর আহত ০১ থানায় অভিযোগ

 

বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুর জেলার নেসারাবাদ ( স্বরুপকাঠী) উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ রাহাত হাওলাদার বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগে ১১ জনের নামোল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা কর্মী ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গত ২৩ মার্চ সকাল আনুমানিক ১১ টায় মাহামুূূদকাঠী গ্রামে টিআর এর কাজের অনিয়ম নিয়ে বাদী মোঃ রাহাত হাওলাদারসহ স্হানীয় জনগন প্রতিবাদ করে। ইহাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১নং বিবাদী সহ কয়েকজন বাদীর সাথে তর্কে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে বিবাদীরা সকলকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হুমকি দিয়ে এলাকা ত্যাগ করে। পরবর্তীতে রাত ১০:৩০ মিঃ ১নং বিবাদী অন্যান্য সন্ত্রাসীদের নিয়ে স্হানীয় মাহমুদকাঠী বাজারের দক্ষিণ পাড়ের বিএনপি অফিসের সামনে উপস্থিত হয়ে বাদীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা বিএনপি অফিসে হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিল ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। উক্ত সন্ত্রাসী হামলায় বাদীসহ ১নং সাক্ষী আহত হয়। ১ নং সাক্ষী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

 

বাদী, সাক্ষী এবং স্হানীয় সূত্রে জানা গেছে হামলাকারীদের মধ্যে বেশীর ভাগই বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারী। তারা নেতৃত্ব বিভক্ত নেসারাবাদ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ সমর্থক। মাহমুদকাঠী বিএনপির ঐ অফিসটি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল বেরুনী সৈকতের সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় অহিদ সমর্থকরা ভাংচুর চালায়। এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানা গেছে হামলাকারীরা ০৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মী ছিল। বর্তমানে ঐ সকল সন্ত্রাসীরা নেসারাবাদ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান অহিদের আওয়ামী পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করেছে। তারা অফিসে ভাংচুরের সময় উচ্চ স্বরে চিৎকার করে বলতে থাকে এখানে সৈকতের কোনো অফিস থাকবে না। এলাকায় অহিদ সমর্থকদের অফিস থাকবে। এলাকাবাসী আরো জানায় বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারী ঐ সকল সন্ত্রাসীরাা অহিদের ছত্র ছায়ায় থেকে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায় আসামিগন এলাকায় বিএনপির নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজীতে লিপ্ত রয়েছে। এ ছাড়াও তারা এলাকার বিভিন্ন সরকারি কাজে বাধা বিঘ্নের সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। বাদী আরো জানায় আসামিরা যে কোনো সময় তার এবং সাক্ষীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাদের জান মালের ক্ষতি সাধন করতে পারে। তাই প্রশাসনের প্রতি বাদী সহ এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে তাদের জান মাল রক্ষার জন্য বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য ০৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে নেসারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন স্হানে যে সকল হামলা, মামলার ঘটনা ঘটে তার সবগুলোতেই অনুপ্রবেশকারীরাই জড়িত। বিএনপির উপজেলা নেতৃত্বের একটি অংশের মদদেই তারা আইন শৃঙ্খলা বিরোধী কাজের সাথে জড়িত রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।