নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার তানিয়ার চালা মাষ্টার বাড়ি এলাকার ইলিয়াস হোসেন এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ।
হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি যার নিত্যদিনের কাজ। একাধিক হত্যা , চুরি, ছিনতাই মামলার আসামি ইলিয়াস হোসেন এলাকার এখন আতষ্কের নাম। তথ্য সূত্রে জানা যায়,২০২২ সালে জয়দেবপুরের মাষ্টার বাড়ি এলাকায় তার বিরুদ্ধে চার লাখ আশি হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় যার পিটিশন মামলা নং ৮২২/২২,অন্য একটি মামলা নং এম আর ৭১২৪/২২ এবং ০৫/০৮/১০ এর তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয় যার নং ৮০৬/১০ । ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ থাকা সত্যেও পুলিশ প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার এ্যাকশন নেয়া হয়নি।
মাষ্টার বাড়ি এলাকার বিভিন্ন গার্মেন্টসের মালিকদের সাথে সখ্যতা করে কর্মীদের উপর নির্বিচারে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে মোটা অংকের চাঁদা হাতিয়ে নিচ্ছে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, গত রমজানের ঈদের পূর্বে বেতনের দাবিতে জায়েন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড এর কর্মীরা আন্দোলন করল ইলিয়াস হোসেন কর্মীদের উপর গত ঈদুল ফিতরের আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গার্মেন্টস কর্মীদের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় । তখন কর্মীরা জয়দেবপুর থানায় অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশের সামনে ইলিয়াস হোসেন বগী দা নিয়ে ফিল্মী স্টাইলে কর্মীদেরকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে।এসকল বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত ইলিয়াস হোসেনকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত নয়। আপনার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ডাকাতির মামলা আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো উদ্দ্যশ প্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমি একসময় আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলাম এখন আর রাজনীতি করি না। ব্যবসা বাণিজ্য করে জীবন চালিয়ে আসছি। আমার অনেক শত্রু তারা এসকল অপপ্রচার চালাচ্ছে। আপনারা তদন্ত করে দেখেন আমি দোষী হলে যে কোন সাস্থি দেবেন তা মেনে নেব। এব্যাপারে জয়দেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর সাথে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে তার ব্যাপারে কোন অভিযোগ আসেনি। কেও অভিযোগ করলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
গার্মেন্টস কর্মী রিপন জানান, ইলিয়াস হোসেনর অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট, আমরা গার্মেন্ট শ্রমিক অফিসের সাথে বেতন অথবা সুযোগ সুবিধা নিয়ে কোন ঝামেলা হলে তারা ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে আমাদের শায়েস্তা করে। আমরা তার নির্যাতনে এখন নির্ভয়ে চাকুরী করতে পারছিনা। যে কোন মুহূর্তে আমাদের উপর নির্যাতনের ষ্টীম রোলার চাপিয়ে দিতে পারে। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা ফারুক হোসেন বলেন আমরা শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে শ্রমিকদের উন্নয়নে কাজ করতে পারব।
