যারা বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী তারা সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ হতে পারে না, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান ” জিরো টলারেন্স ” – আব্দুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত

বিশেষ প্রতিনিধি : সংসদীয় আসন ১২৮ পিরোজপুর ০২। দক্ষিণের জেলা পিরোজপুরের নেছারাবাদ, কাউখালী ও ভান্ডারিয়া উপজেলার সমন্বয়ে এ আসনটি গঠিত। প্রায় ৪ লাখ ভোটার অধ্যুষিত এ আসনের ১লাখ ৯৫ হাজার ভোটারই রয়েছে নেছারাবাদ উপজেলায়। আর এই বিপুল ভোটার অধ্যুষিত উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন আবদুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত। নেছারাবাদ উপজেলাটি ১০ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। আগামী সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর ০২ আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে নেছারাবাদ উপজেলার গুরুত্ত্ব সর্বাগ্রে। আর এ উপজেলা থেকে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার জন্য যে সকল বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হওয়া দরকার তার সবগুলি বৈশিষ্ট্যই রয়েছে আব্দুল্লাহ আল বেরুনী সৈকতের মধ্যে।

বিএনপির রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা এ তরুণ নেতাকে রাজনীতির মাঠে কোনো বিতর্ক কখনোই স্পর্শ করতে পারে নি। উচ্চ শিক্ষিত এবং আধুনিক মনমানসিকতা সম্পন্ন এ নেতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপি আজ একটি শক্তিশালী সংগঠনে রুপ নিয়েছে। যেখানে বিগত স্বৈর শাসনের আমলে নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রীদের সাথে একই মঞ্চে উঠে হাসিনার উন্নয়নের জয়গান গাইতে শোনা গেছে। ফলস্বরূপ ঐ সকল তেলবাজ নেতা বিগত স্বৈর শাসনের সময় সকল প্রকার মামলা হামলা থেকে ছিল মুক্ত। সেখানে আব্দুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলার শিকার হন। কিন্তু স্বৈরাচারের কোনো বাঁধা বিঘ্ন হামলা মামলা তাকে দমাতে পারেনি। গা বাঁচানোর জন্য স্হানীয় স্বৈরাচারের দোসরদের তাঁবেদারি করেন নি কখনো। স্বৈর শাসক দলের কোনো এমপি মন্ত্রীর সাথে একই মঞ্চে উঠে নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য তাদের গুন কীর্তন করেন নি। কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচী সফল করতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সর্বদাই তিনি মাঠে ছিলেন এবং আছেন।

উপজেলা বিএনপির এক শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে। তার স্বা- চিত্র প্রতিবেদন ঘুরপাক খাচ্ছে গণমাধ্যম সহ বিভিন্ন সোসাল মিডিয়ায়। দলে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও চাঁদা বাজদের পৃষ্ঠপোষকতা দানের বিতর্কও রয়েছে কারো কারো বিরুদ্ধে। কিন্তু এসব বিতর্ক পাশ কাটিয়ে ক্লিন ইমেজ নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করার কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন তিনি। ইতিমধ্যে উপজেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতা কর্মীদের সুসংগঠিত রাখতে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করে চলেছেন তিনি।

নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও শালিস বানিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত বলেন, যারা বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী তারা কখনোই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, সালিশ বানিজ্যের হোতা হতে পারে না। যে দলের নেতাকর্মীরা গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছে তারা দলের জন্য ক্ষতিকর কোনো অপকর্মে জড়িত হতে পারে না। তিনি বলেন যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তবে তাদের অতীত বিশ্লেষন করলেই জানা যাবে তারা কোন ধরনের নেতা কর্মী।

নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে ঐ সকল সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি সর্বসাধারণের নিকট আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আবদুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত বলেন, দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন কারীদের ব্যাপারে আমার অবস্থান জিরো টলারেন্স। আমার আদর্শের অনুসারীদের বিরুদ্ধে কোথাও দলীয় শৃঙ্খলা লংঘনের অভিযোগ পাওয়া যাবে না। যদি কেউ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের আশ্রয় দিয়ে থাকে তবে তা ব্যাক্তি স্বার্থে করতেছে। এর সাথে নেসারাবাদ উপজেলা বিএনপির কোনো সম্পর্ক নাই। কারণ কোনো ব্যাক্তির অপরাধের দায় দল নিবে না।

সম্প্রতি উপজেলার আলকির হাট এবং আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নে আপনার অনুসারীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে যাহা থানা পুলিশ এবং মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক আদর্শ নয়। এটা হীনমন্যতার পরিচয়। মানুষের আসল পরিচয় তার বাস্তব আচরণের মাধ্যমেই প্রকাশ পায়। ঐ সকল নেতাদের আসল রুপ তার অনুসারীদের কার্যক্রমের মাধ্যমেই ফুটে উঠেছে। নেতার আচরণ যেমন তার অনুসারীদের আচরণ তেমনই হবে এটাই স্বাভাবিক। অপকর্মের পাল্লা
ভাড়ী হয়ে তাদের অবস্থা এমন পর্যায়ে দাঁড়াবে মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। এটাই হবে তাদের শাস্তি।

তিনি নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের অপরাধের শাস্তি স্বরুপ এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বিএনপির জনসাধারণের পাশে থেকে তাদের সমর্থন আদায় করার এখনই সু- সময়। আমাদের অতি উৎসাহী আচরণের জন্য এ সু – সময় যেন দুঃ-সময়ে পরিনত না হয়। তিনি বলেন আগামী নির্বাচন খুব সহজ হবে না। তিনি আরো বলেন, আগামী সংসদ এবং স্থানীয় নির্বাচনে জনগনের মন জয় করেই আমাদের ভোট যুদ্ধে বিজয়ী হতে হবে। তিনি নেতাকর্মীদের সাবধান করে দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ আত্মগোপনে আছে কিন্তু নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় নি। তারা বিভিন্ন উছিলায় আমাদের মধ্যে প্রবেশ করে আমাদেরই ক্ষতি করবে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারো ব্যাক্তিগত স্বার্থ হাসিলের নেতৃত্বের অসৎ এবং অন্যায় নির্দেশ পালন না করার জন্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।