মোঃ মুজাহিদুল ইসলামঃ
কাশ্মীরের পেহেলগাম অঞ্চলের বাইসারান ভ্যালিতে ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ঘটে গেছে এক মর্মান্তিক সশস্ত্র হামলা।
এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এটি ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে বেসামরিক নাগরিকদের উপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পেহেলগামের বিখ্যাত ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ খ্যাত বাইসারান ভ্যালিতে চারজন সশস্ত্র হামলাকারী পর্যটকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই বহু পর্যটক প্রাণ হারান।
নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয় নাগরিক, তবে দুইজন বিদেশি পর্যটকও রয়েছেন। ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামক একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর থেকে ভারত সরকারের কাশ্মীর নীতির বিরোধিতা করে আসছে। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহল থেকেও তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটিকে ‘গভীর উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেন এবং ভারতের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলছে, এই হামলা প্রমাণ করে, কাশ্মীরের মতো উচ্চ নিরাপত্তা বিশিষ্ট অঞ্চলেও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কতটা কঠিন হয়ে উঠেছে। এই বর্বরোচিত হামলা কাশ্মীরের পর্যটন খাত ও নিরাপত্তা বাস্তবতার সমস্ত হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়েছে। তাই বাস্তবিক অর্থে পরিশেষে বলা যায়
ভারতের এখন উচিত তার অভ্যন্তরীণ সংকটগুলোর দ্রুত সমাধানে গুরুত্ব দেওয়া। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর আগে নিজেদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাই ভারতীয় নাগরিকদের প্রথম অগ্রাধিকার।
মুজাহিদুল ইসলামঃ
তরুণ রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি।