আবু তাহের পাটোয়ারীঃ
বেশ কিছুদিন হলো ভারতের মুসলিমদের সাথে অমানবিক নির্যাতন মসজিদ মাদ্রাসা গুড়িয়ে দেওয় চলছে। সমগ্র পৃথিবীর সাধারণ মানুষ যেখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে ঠিক তখন একমাত্র দেশ ভারত,যে দেশের কিছু উগ্র হিন্দুরা ইসরাইলের গণহত্যার পক্ষে রাজপথে
।কা’শ্মী’রের পহেলগামে ২৬ জন নি’হত হওয়ার ঘটনায় এবার মুখ খুলেছেন লস্কর-ই-তৈয়বার ডেপুটি চিফ সা’ইফু’ল্লাহ খা’লি’দ ওরফে সাই’ফু’ল্লাহ কাসুরি। সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে (যার সত্যতা এখনো যাচাই হয়নি) সা’ইফু’ল্লাহ দাবি করেছেন, “এই হা’মলা ছিল ভারতের নিজস্ব ষড়যন্ত্র। পা’কি’স্তান বা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের এতে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
সা’ইফু’ল্লাহর বক্তব্যে উঠে এসেছে ভারতের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। তিনি বলেন, “ভারত নাটক করছে। পহেলগামের হা’ম’লায় পা’কি’স্তানকে দায়ী করার পেছনে একটি গভীর ষ’ড়য’ন্ত্র রয়েছে। ভারত চায় পা’কি’স্তানকে ধ্বং’স করতে। কা’শ্মী’রে ১০ লক্ষ সেনা মোতায়েন করে ভারত নিজেই যু’দ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “এই হা’ম’লার সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমরাও এই বর্বর হামলার নিন্দা জানাই। ভারতের মিডিয়া ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়াচ্ছে।”
তবে ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রগুলো এই বক্তব্যকে ‘পাল্টা প্রপাগান্ডা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, হা’ম’লার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন সাই’ফুল্লাহ নিজেই। তার নির্দেশেই পাঁচ থেকে ছয় জন সশস্ত্র জঙ্গি বৈসরন উপত্যকায় নির্বিচারে গু’লি চালায়।
ঘটনার দায় ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF) নামের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, যার জন্ম ২০১৯ সালে কা’শ্মী’রের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সময়। TRF-কে লস্কর-ই-তৈয়বার ছায়া সংগঠন হিসেবে মনে করা হয় এবং সা’ই’ফুল্লা’হ এই সংগঠনের অন্যতম কৌশলগত নেতা ছিলেন বলে ধারণা করছে গোয়েন্দারা।