জনগণের পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন সম্ভাবনা

বর্তমান সময়ে দেশের জনগণ একটি গভীর উপলব্ধি নিয়ে সামনে এগোচ্ছে—শুধু একটি নির্বাচন নয়, চাই একটি টেকসই পরিবর্তন। নির্বাচন তখনই অর্থবহ হয়, যখন তার পেছনে থাকে জনগণের আস্থা, স্বচ্ছতা এবং সুশাসনের নিশ্চয়তা। তাই আজ জনগণ শুধু একটি নির্বাচনের জন্য নয়, বরং একটি সুবিচারভিত্তিক, ন্যায়নিষ্ঠ রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য অপেক্ষা করছে।

এই বাস্তবতায়, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকার সংস্কার কমিটি নতুন এক আশার আলো হয়ে উঠেছে। তার নেতৃত্বে যে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা কেবল রাজনৈতিক সংস্কার নয়—বরং একটি মানবিক, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের ভিত্তি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা।

এজন্য আজকের তরুণ সমাজ, প্রগতিশীল জনগোষ্ঠী এবং সচেতন নাগরিকরা জানেন—সংস্কার শেষ না হলে, সেই পুরোনো ধারার নির্বাচন কেবল নতুন করে অচল অবস্থার জন্ম দেবে। তাই তারা ভোটের নামে প্রতারণা নয়, সত্যিকারের পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হতে চায়।

যারা এই পরিবর্তনের বিরোধী, যারা ক্ষমতার লোভে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে—তাদেরকে আজ প্রশ্ন করতে হয়, জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন তারা?

পরিবর্তন একদিনেই আসে না, কিন্তু তার পথরেখা নির্মাণ করতে হলে সাহসী নেতৃত্ব, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা এবং সর্বোপরি জনগণের আস্থা প্রয়োজন।তাবৎ দুনিয়ার বাঁচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একঝাঁক মেধাবীকে বিদেশ থেকে এনে বিপ্লবীদের নিয়ে ইতোমধ্যেই তাঁদের সমন্বয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সেই পতিত স্বৈরশাসকের রেখে যাওয়া বিধ্বস্ত দেশকে নতুন বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলতে পথচলা শুরু হয়েছে, এখন প্রয়োজন আমাদের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতি।
২৫ এপ্রিল ২০২৫