গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের জায়গা হবে না, ভিপি নুর

মুজাহিদুল ইসলামঃ

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বলেছেন ভারতের ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির কিছু লোকজন তারা বাংলাদেশ দখলের কথা বলে । বাংলাদেশ দখল কি এতোই সহজ । এতো সহজ না। ভারতই অন্যদিকে দখল হয়ে যাচ্ছে । ওইদিকে পাকিস্তান গুতো দিচ্ছে ওই দিকে চীন গুতো দিচ্ছে । চীন পাকিস্তান সামলাইতে তো ভারতের জান শেষ । সুতরাং আমরা বলবো বাংলাদেশের সাথে লাগতে আইসেন না । তাহলে ত্রীমুখী গুতোগুতি শুরু হলে টিকতে পারবেন না। প্রতিবেশী রাস্ট্র হিসেবে আমরা চাই ভারতের সাথে আমাদের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হবে,একটা নায্যতার সম্পর্ক হবে। গোলামীর সম্পর্ক হবেনা। গত ১৬ বছরে আমারদেশের মানুষ সীমান্তে ভারতের গুলিতে মরে আওয়ামীলীগ কোন প্রতিবাদ করেনাই । নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রিরা নির্লজ্জ বেহায়ার মতো বলেছে বাংলাদেশের সাথে আমাদের স্বামী স্ত্রীর মতো সম্পর্ক। এই নিল্লর্জ বেহায়রা জনগণের প্রতিরোধের মুখে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এখন ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। অনেকে নাম পরিবর্তন করেছে। মুসলমান নাম পরিবর্তন করে হিন্দু নাম নিয়েছে বাচার জন্য। তারমানে এটা প্রমানিত আওয়ামীলীগ ভারতের একটা এক্সটেনশন। ভারতের দাস, গোলামী করা দল। এই জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শুধুমাত্র আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটোয়নি এদেশের জনগণ এবং বীর ছাত্র জনতা, এই দেশে ভারতীয় আগ্রাসন এবং আধিপত্যবাদকেও উচ্ছেদ করেছে এই আওয়ামীলীগের পতনের মাধ্যমে। কাজেই এইখানে আমাদের অবস্থান পরিস্কার ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তি বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের ঠিকানা হবেনা। পৃথিবীর ইতিহাসে এই ধরনের জঘন্য এবং বর্বরতার পরে রাজনৈতিক দল রাজনীতি করতে পারেনাই । আওয়ামীলীগের সাথে আমাদের কোন আপোষ হবেনা। তিনি বলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭১ এর মুক্তি যুদ্ধ থেকে শুরু করে ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান যত আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে প্রত্যেক আন্দোলন সংগ্রামে সাধারন শ্রমিক কৃষক সাধারন জনতা লড়াই সংগ্রাম করেছে । কিন্তু তার ফল ভোগ করেছে এই দেশের ভাওতাবাজ ভন্ড রাজনীতিবীদরা উঁচুতলার মানুষেরা। তাই আমরা বলতে চাই ভন্ড রাজনীতিবীদদের পেছনে ঘুরে দেশে সমাজের ক্ষতি করা যাবেনা। ভবিষ্যৎ নষ্ট করা যাবেনা। এখন সময় এসেছে আমাদের ঘুরে দাড়ানোর। এই সমাজকে পরিবর্তনের জন্য এই সাধারন ছাত্র জনতা বীর জনতাকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। সে কারণেই আমরা বলছি আওয়ামীলীগের আমলে সেই লুটপাট এবং দখলদারী চাঁদাবাজি মাফিয়াদের রাজনীতি চলেছে পরিস্কার কথা বলতে গেলে শুধুমাত্র পঞ্চগড় নয় সারা বাংলাদেশে এই গণঅভ্যুত্থানের পরেও কিন্তু তার পরিবর্তন হয়নাই। এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আপনারা খোঁজ নেন ট্রাক স্ট্যন্ড থেকে, টেম্পু স্ট্যান্ড থেকে, বাস স্ট্যান্ড থেকে আগে যেভাবে চাঁদা তুলতো এখনো চাঁদা তোলা বন্ধ হয়ে কিনা ? কাঁচা বাজার,সবজিবাজার, সমিতি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, মিল, ফ্যাক্টরি আওয়ামীলীগ তো পালিয়ে গেছে এখনো চাঁদাবাজী লুটপাট বন্ধ হয়েছে কিনা ? হয়নাই । শনিবার দূপুরে চৌরঙ্গী মোড়ের মুক্ত মঞ্চে গণ অধিকার পরিষদ পঞ্চগড় শাখা আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন । তিনি বলেন রাজনৈতিক দলগুলোকে ভুলে গেলে চলবেনা রাজনৈতিক দলগুলোর সুবিধাবাদী, ভাওতাবাজির কারণে গত ষোল বছরে তাদের ডাকে কোন লোক রাস্তায় নামেনাই । তাদের ডাকে জনগণ আন্দোলন সংগ্রাম করেনাই । ছাত্র জনতা তরুণদেরকে বিশ্বাস করে বাংলাদেশকে নতুনভাবে বিনির্মাণ করার জন্যই বুক পেতে বুক চেপে লড়াই করেছে। এইখানে এক ভাই বলেছে তেঁতুলিয়ায় পাথর তুলতেও নাকি শ্রমিকদেরকে চাঁদা দিতে হয়। তাহলে এই চাঁদা কারা তুলছে। চাঁদাবাজদের কে তো আমরা বুকের রক্ত দিয়ে হটিয়েছি। দখলদারদের তো আমরা জীবন দিয়ে দেশ থেকে বিতারিত করেছি। তাহলে এখন চাঁদাবাজ দখলদারী কারা। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনাদের স্বভাব চরিত্র আওয়ামীলীগের মতো হয় জনগণ কিন্তু ভোটের মাঠে তার জবাব দেবে। এসময় তিনি আরও বলেন পঞ্চগড় শাখার সভাপতি মাহাফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় দলটির মূখপাত্র সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান , সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূূর আসাদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, জাগপার পঞ্চগড় শখার সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ার রহমান বিপ্লব ,বাংলাদেশ জাসদের পঞ্চগড় শাখার সাধারন সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল, গণ সংহতি আন্দোলনের আহবায়ক সাজেদুর রহমান সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পঞ্চগড় জেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এসময় আগামি সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মাহাফুজুর রহমানকে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি।