নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আশারিয়াচর গ্রামে রহিম মিয়াকে সম্পত্তি লেখে না দেওয়ায় তার দুই সন্তান জহিরুল ও সাইফুল নির্মমভাবে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর আহত করে।
রবিবার ২৭ এপ্রিল দুপুরে তার নিজ বাড়ির সামনে ৭০ বছর বয়সের এ বৃদ্ধাকে এভাবে অমানুষিক নির্যাতন চালায় তারি কুলঙ্গার দুই সন্তান ও দুই মেয়ে।
জানা যায়, পিতা রহিম মিয়াকে বিভিন্নভাবে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার চাপ সৃষ্টি করলে রহিম মিয়া সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় তার দুই সন্তান ও দুই মেয়ে স্থানীয় লোকদের সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার অপেক্ষায় থাকে।
এদিকে স্থানীয় বিএনপির নেতা জলিল মিয়া রহিম মিয়াকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে এবং স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় তাকে হসপিটালে নিতে চাইলে তার দুই সন্তান তাকে বাধা দেয়। একটি ভিডিও ফুটেছে দেখা যায় তার সন্তান জহিরুল কে তার বাবাকে হসপিটালে নেওয়ার জন্য বলা হয় সে হসপিটালে নিতে দিবে না তখন বিএনপি নেতা জলিল কে বলতে শোনা যায় আমাদেরকে হসপিটালে নিতে দিবে কিনা সে তাও বাধা দেয় এভাবে তার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার জন্য সাইফুল ও জহিরুল গুরু তোর আহত করে ফেলে রাখে। পরে বৃদ্ধের শরীরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা জন্য ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি প্রস্তুতি নেও হচ্ছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়াতে এ ভিডিও রীতিমত ভাইরাল হয়ে যায়।