নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে উঠেছে একাধিক গুরুতর অভিযোগ। চাঁদাবাজি, অনিয়ম, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায়, এমনকি নিজেই মাদকসেবী হওয়ার অভিযোগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে।
স্থানীয় সচেতন মহলের ভাষ্য, যিনি আইন রক্ষা করবেন, যদি তিনিই আইনের ব্যত্যয় ঘটান, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?
সূত্র জানায়, সম্প্রতি কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধ হলেও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন এএসআই সোহরাব।
কিছুদিন আগে ইনাতগঞ্জের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী একতার হোসেনকে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ আটক করে। পরে ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপে একতার হোসেন অভিযোগ করেন, এএসআই সোহরাব ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা নিয়েছেন।
তাছাড়া ফিরোজপুর গ্রামের এক ব্যক্তিকে আধা কেজি গাঁজাসহ আটক করেও পরে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অপরদিকে, চোরাই নাম্বার প্লেটবিহীন একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে স্থানীয় একটি চক্রের সহায়তায় ৩০ হাজার টাকায় বিক্রির ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। তার এই একচ্ছত্র দাপট নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন—এএসআই সোহরাবের এমন ক্ষমতার উৎস কোথায়? কে বা কারা তার পেছনে?
উল্লেখ্য, বর্তমান হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, এএসআই সোহরাবের কর্মকাণ্ড পুলিশের সম্মান ও ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
তাই ইনাতগঞ্জ এলাকাকে মাদকমুক্ত ও সুশৃঙ্খল রাখতে এলাকাবাসী এএসআই সোহরাব হোসেনকে অবিলম্বে বদলি করার জন্য পুলিশ সুপারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন
