চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানায় দুই রোহিঙ্গা নারী সহ গ্রেফতার- ৪ উদ্ধার ৫ হাজার ৪৫০ পিস ইয়াবা!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানা কর্তৃক অভিযানে দুই রোহিঙ্গা নাগরিক সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৪৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ একটি এন্ড্রয়েড ফোন ও চারটি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এর সার্বিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব ছৈয়দ ওমর এর নেতৃত্বে ১ নং ঝিলের সন্নিকটে চিহ্নিত সন্ত্রাসী নুরে আলম প্রকাশ নূরুর সেমিপাকা ভাড়া বাসায় এ অভিযান পরিচালনা করেন,এসআই ফজলুর রহমান,এসআই ইসমিট চাকমা,এসআই মোস্তাফিজুর রহমান,এএসআই, আঃ সালাম,এএসআই মোঃ হুমায়ুন কবির ও এএসআই জাকির হোসেন সহ অন্যান্যরা।

উক্ত অভিযানে দুই রোহিঙ্গা নারী সহ চার আসামীকে গ্রেফতার করা হয়,গ্রেফতারকৃতরা হলেন,রশিদা বেগম (২৮),রেহানা(২৫),মোঃ সোহেল হোসেন (৩০),মোঃ আল আমিন(২৫)। গ্রেফতারকৃত আসামীদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৪৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট চারটি বাটন মোবাইল একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

এসময় আসামিদের মধ্যে সুকৌশলে রুবি আক্তার(৪০) নামের অপর এক আসামী পালিয়ে যান। আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসা কালে জানা যায়,রশিদা বেগম (২৮), ও রেহানা (২৫) দুজনেই রোহিঙ্গা নাগরিক তারা কক্সবাজার থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট গুলো পেটে করে চট্টগ্রাম নিয়ে আসেন এবং এখানে এসে পলাতক আসামী রুবি ও অপর দুই আসামী সোহেল হোসেন (৩০),মোঃ আল আমিন(২৫) কে গণনা করে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। রশিদা বেগম ও রেহানা দুজনে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক। তারা টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করে। পলাতক আসামী রুবি আক্তার চট্টগ্রাম মহানগরীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী নুরে আলম প্রকাশ নুরুর সহোদর বোন। সে দীর্ঘদিন যাবত কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানা এলাকা হতে বাহক মারফত অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সস্তা দামে ক্রয় করে এনে তার স্বামী মোঃ সোহেল হোসেন (৩০) এবং তার প্রতিবেশী আল আমিন(২৫)’ দ্বয়ের মাধ্যমে আকবর শাহ থানা এলাকা সহ চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারী দামে অবৈধ মাদকদ্রব্য বিক্রয় সহ ১নং ঝিল এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত সে মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছে।

ইতিপূর্বে আকবর শাহ্ থানা পুলিশ একাধিকবার রুবির
আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে রুবিকে ধরার চেষ্টা করার পরেও ব্যর্থ হয়, কারণ রুবির ইয়াবা সিন্ডিকেট এর সদস্যরা আগে থেকেই পুলিশ আসার সংবাদ পেয়ে যায়। এবং দুর্গম পাহাড়ি জনপদ হওয়ায় এখন পর্যন্ত ইয়াবা সিন্ডিকেটের মূল আসামী রুবিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ধারা ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) ও ১০(গ)/৪১ রুজু করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে অদ্য ০৩/০৫/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।