হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের করগাঁও গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন সাংবাদিক বাদল আহমেদ ও তার সহকর্মীরা। পরবর্তীতে হবিগঞ্জের সময় পত্রিকায় প্রকাশিত মানহানিকর মিথ্যা সংবাদে সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগী সাংবাদিক বাদল আহমেদ পেশায় একজন সংবাদকর্মী। তিনি জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর বিশেষ প্রতিনিধি এবং হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক জননী পত্রিকার নবীগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
গত ৪ মে করগাঁও গ্রামে আব্দুছ ছালাম ও ফারুক মিয়া পক্ষের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ সংক্রান্ত বিরোধের খবর পেয়ে সাংবাদিক বাদল আহমেদ তার সহকর্মী শফিকুল ইসলাম নাহিদকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতিতেও আব্দুছ ছালাম গংরা তাদের মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে লাঞ্ছিত করে। সাংবাদিকরা তীব্র অপমান ও হয়রানির শিকার হন।
এরই মধ্যে, গত ৮ মে দৈনিক সময় পত্রিকায় সাংবাদিক বাদল আহমেদ, শফিকুল ইসলাম নাহিদ ও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আশাহিদ আলী আশার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদের শিরোনামে “চোর” ও “কথিত” সাংবাদিক বলে উল্লেখ করা হয়, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সাংবাদিক সমাজে গভীর ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে।
দৈনিক সময় পত্রিকার প্রকাশক ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সেলিম মিয়া তালুকদার স্থানীয় যুবলীগ নেতা হলেও তার বিরুদ্ধে একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। ৫ আগস্টের ছাত্র হামলার ঘটনায় জড়িতরা ধরা পড়লেও তিনি এখনো এলাকায় দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করছেন। তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ প্রকাশ্যে কথা বলার সাহস পান না।
সাংবাদিক বাদল আহমেদ জানান, সেলিম মিয়া তালুকদারের সম্পাদিত পত্রিকাটি পূর্ব শত্রুতার জেরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ আদালতে একটি মানহানি মামলা (সিআর ৭৮৬/২৪) বিচারাধীন রয়েছে।
তিনি মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, “সাংবাদিকদের হয়রানি ও অপমান থামাতে হলে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
এ ঘটনায় নবীগঞ্জের সাংবাদিক মহল একতাবদ্ধভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে সময় পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এবং যথাযথ তদন্তে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
