নবজাগরণ রিপোর্ট :
নোয়াখালীর সেনবাগের অর্জুনতলা ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র ছিলোনিয়া বাজার-যেখান কারুকার্যে সদ্য নবসাজে উন্মোচিত হলো “সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমি”-র নতুন ভবন। রবিবার (১৮ মে ২০২৫) দুপুরের অভিভাবক সমাবেশ ও শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষাপ্রেম, সমাজ-কল্যাণ ও প্রযুক্তি-বান্ধব শিক্ষার অপার সম্ভাবনাই যেন মিলেছে এক মোহনায়।
অনুষ্ঠান-পরিচালনা ও অতিথিবৃন্দ
সভাপতিত্ব করেন একাডেমির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোঃ আবদুস ছাত্তার বিএসসি; সঞ্চালনায় ছিলেন শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসাইন।
প্রধান অতিথি : একাডেমির প্রধান পৃষ্ঠপোষক, টপস্টার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ
বিশেষ অতিথি : এসএফ গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান, প্রখ্যাত নারী উদ্যোক্তা সৈয়দা সাজেদা রশীদ শেলী
বক্তব্য রাখেন:
ছিলোনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেন
সমাজসেবক ও অভিভাবক প্রতিনিধি আবু ইউসুফ মজুমদার
সেনবাগ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন
সমাজসেবক মির্জা মোহাম্মদ সোলেমান, হোসেন শহিদ সরওয়াদী
ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ, কুতুব উদ্দিন পাটোয়ারি
একাডেমির পরিচালক আবদুল জব্বার ও সেলিম প্রমুখ।
উন্মোচনের পর্দা-ওঠা মুহূর্ত
আলোচনা শেষে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের মাঝে ইউনিফর্ম বিতরণ করেন। পরে লাল ফিতা কেটে একাডেমির কম্পিউটার কর্নার, মক্তব, কিডস কর্নার ও মায়েদের অপেক্ষ কক্ষ (বিশ্রামাগার) উদ্বোধন করেন-দর্শনার্থীদের চোখে একঝলক আধুনিকতার ছোঁয়া।
সৈয়দ হারুন এমজেএফ—একজন আলোকবর্তিকা
কার্যক্রম সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপকারভোগী
টপস্টার স্কলারশিপ প্রতিবছর ২০০+ মেধাবী-দরিদ্র শিক্ষার্থীকে পূর্ণ বৃত্তি উপকূলীয়/গ্রামীণ বিদ্যালয়
স্বাস্থ্য শিবির সেনবাগ, সোনাইমুড়ী ও নোয়াখালীর ৫ টি ইউনিয়নে বিনামূল্যের চক্ষু-শিবির ও রক্তদানের ক্যাম্প ৭,৫০০+ রোগী
নারী উদ্যোক্তা তহবিল ‘শেলী ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ ও প্রশিক্ষণ ১,৩০০+ নারী
ডিজিটাল শিক্ষাল্যাব ১০টি স্কুলে স্মার্ট-বোর্ড ও ল্যাপটপ প্রদান ৬,৮০০ শিক্ষার্থী
সবুজ বাংলা কর্মসূচি ২০,০০০ ফল-ও-বৃক্ষ চারা রোপণ ১১ গ্রাম
“সমাজের উন্নয়ন মানে কেবল দান-খয়রাত নয়; সবার ক্ষমতায়নই আমার লক্ষ্য”- সৈয়দ হারুন এমজেএফ
কেন তিনি অনন্য?
১. দীর্ঘমেয়াদি দর্শন – শিক্ষাকে প্রযুক্তির সঙ্গে মেলাতে তিনি ২০১৬-তে চালু করেন “ডিজিটাল কর্নার” ধারণা, যার ধারাবাহিকতায় আজকের অত্যাধুনিক কম্পিউটার কর্নার।
২. নির্বিচারে অন্তর্ভুক্তি -ধর্ম, লিঙ্গ বা আর্থসামাজিক অবস্থান-কাউকে বঞ্চিত না রেখে ‘একাডেমি সহযোগিতা ফান্ড’ গঠন করেছেন।
৩. স্থানীয় উদ্ভাবনকে উৎসাহ – সেনবাগের তরুণদের জন্য স্টার্ট-আপ বুটক্যাম্প, যেখানে ৪টি উদ্যোগ এখন লাভজনক ব্যবসা।
৪. ট্রান্সপারেন্ট মডেল -সব প্রকল্পের আয়-ব্যয়ের অনলাইন প্রকাশ, কমিউনিটি মনিটরিং কমিটি ইত্যাদি দিয়ে জবাবদিহিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ:
২০২৬-এ ‘টেক-স্কিল ইনস্টিটিউট’ : আইওটি ও রোবটিক্স শেখাবে।
নারী-স্বাস্থ্য ক্লিনিক নেটওয়ার্ক : প্রসূতি সেবা সহজলভ্য করতে।
গ্রিন এনার্জি স্কুল : সোলার-পাওয়ারে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ ও উদ্বৃত্ত গ্রিডে যোগ।নোয়াখালীর সেনবাগে সৈয়দ হারুন এমজেএফ এর জনকল্যাণে অত্যুজ্জ্বল বহু দৃষ্টান্ত দীর্ঘদিন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
নির্বিশেষে
সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমির এই নতুন যাত্রা শুধু একটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন নয়; এটি সৈয়দ হারুন এমজেএফ-এর “সমাজকে ফেরত দেওয়ার” মহাউদ্যোগের আরেকটি দীপ্ত পদচিহ্ন। তাকে ঘিরে গড়ে ওঠা মানবিক উদ্যোগগুলো সৈয়দ রুহুল আমিনের আদর্শকে পাথেয় করে আগামী প্রজন্মকে আলোকিত করবে নি:সন্দেহে ;এটি শুধু আমাদের প্রত্যাশাই নয়, দৃঢ় বিশ্বাসও।
“পরের জন্য বাঁচাই মানবতার শ্রেষ্ঠ প্রকাশ।”
-এই মন্ত্রেই এগিয়ে চলুক সৈয়দ হারুন এমজেএফ ও তার সহযোগী বন্ধুরা।
শেয়ার করুন-তথ্যগুলো ছড়িয়ে দিন, যাতে আরও মানুষ অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজ-কল্যাণ উদ্যোগে যুক্ত হয়। আগামী দিনগুলোতে জনহিতৈষী সৈয়দ হারুন এমজেএফ এবং তাঁর টিম-কে আরও উদ্ভাবনী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে দেখে গর্বিত হবে নোয়াখালীর সেনবাগসহ সমগ্র বিশ্ব-শুভকামনা।