নবীগঞ্জের আলোচিত মুখোশধারী আওয়ামিলীগ নেতা রানার মুখোশ উন্মোচন!!

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
নবীগঞ্জ উপজেলার সর্বশ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাস রানার জন্ম সুত্রে, সে ৭নং করগাঁও ইউনিয়নের নাগরিক না হলেও নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে পড়া লেখার পাশাপাশি মামা সুকুমার বাবু দীর্ঘদিন ৭নং করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান থাকায় ওই ইউনিয়নের একটা পরিচিত মুখ হয়ে উঠেন রানা!!

আওয়ামীলীগের ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে সর্বশেষ নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি সে পরে আবার বহিষ্কার হয়,,

তার এই সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে কি সে করে নাই?? ক্যারিশমাটিক চরিত্রের অধিকারী এই রানা পর পর দুই বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাবেক চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিনের কাছে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়ে সর্বশেষ দলীয় ক্ষমতাকে পুজি করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দিনের ভোট রাতে দিয়ে, গ্রামের সহজ সরল নিরীহ মানুষকে কে মামলার ভয় দেখিয়ে ভোট সংগ্রহ ও ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়!!

নির্বাচিত হবার দুইবছর অতিবাহিত হলেও উক্ত ইউনিয়নের কোন উল্লেখ যোগ্য উন্নয়ন মূলক কাজ হয়নি যা হতাশ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন করগাঁওর ইউপির সাধারণ মানুষ, শুধু তাই নয় সে একটা সিগনেচারের জন্য তার নির্বাচিত এলাকার জনগণ হাটাতে হাটাতে পায়ের জুতা ক্ষয় হয়ে যেতো, তবুও সিগনেচার নামের সোনার হরিণ পেতে দিনের পর দিন হাঁটতে হতো রানার পিছনে!!

সাধারণ জনগণের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে চলে গিয়ে ইউনিয়নের অভ্যন্তীর সকল বাজেটের একটা বড় ভাগ তার নিজের পকেটে যেতো।

সে খুব কমই নিয়মিত অফিস করতো। তার ক্ষমতার অপব্যবহার এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে নবীগঞ্জ উপজেলাকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে কোন নোটিশ ছাড়াই প্রায় ১০ লক্ষ টাকার গাছ বিক্রি করে ফেলে যার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মেম্বার চেয়ারম্যান দের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্দ্ব এবং পরবর্তীতে তা প্রকাশ পায় জনগণের কাছে! ৭নং করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ এর জনগণ যে স্বপ্ন নিয়ে তাঁকে নির্বাচিত করেছিল সে স্বপ্নে ধূলাবলী।। পুরস্কার স্বরুপ জনগণ থাকে দিচ্ছে শুধু তিরস্কার আর তিরস্কার।।

এবার ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসুন, সে ছিল একজন মামলা ব্যবসায়ী, ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের মামলা, গোষ্ঠীর সাথে গোষ্ঠীর মামলা এ সবকিছুর পিছনে ছিল তার ইন্ধন, পুলিশ কে ব্যবহার করে সে এই মামলা বাণিজ্য পরিচালনা করতো।।
বিভিন্ন সময়ে ব্যবসায়ীদের সাথে নবীগঞ্জে NGO টাইপের টপ সুদের ব্যবসা থেকে শুরু করে সুদের ফাঁদে অনেক ব্যবসায়ীকে নিঃস্ব করেছে সে, প্রভাব কাটিয়ে নবীগঞ্জ পূজা কমিটির অর্থ আত্মসাৎ ছিল তার নিয়মিত কাজ, টাকার বিনিময়ে বিচার ব্যবস্থায় প্রভাব কাঠানো, নিরীহ মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার কি নেই তার মধ্যে?

সে ছিল নবীগঞ্জের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, তার সাহসের মাত্রা এতোটাই ছিল যে সে একজন হিন্দু ব্যাক্তি এবং নবীগঞ্জের স্থানীয় না হয়েও বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামির সাদা পাঞ্জাবি টুপি পড়া হুজুরদের লাঠিচার্জ করেছিল যা তৎকালীন সময়ে কোন আওয়ামীলীগের মুসলিম নেতাও করেনি।

নারী কেলেংকারী তো বাদেই দিলাম, নবীগঞ্জ উপজেলায় সর্বপ্রথম কোনো সুন্দরী নারী কি দিয়ে ব্যবসা করিয়ে থাকলে সে সর্ব প্রথম, যে নারী কে তার দোকানের সেলসম্যান বিক্রয়কর্মী হিসেবে রেখেছিলো, তার সাথে তারা দুনুভাই রানা ও নিরাপদ অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে ছিলো, সেই সেলসম্যান বিক্রয়কর্মী প্রতিবাদ করলে তাকে মেরে গুম করে ফেলবে এসব ভয়ভীতি দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক মেলামেশা করতো দুনুই ভাই, এক সময়ে তার দোকানের সামনে আরেকটি দোকানের বিবাহিত ছেলের সাথে পালিয়ে যায় সেলসম্যান বিক্রয়কর্মী মেয়েটি, সেই সময় রানা মাথায় যেনো আসমান ভেঙ্গে মাথায় পড়ার মত, পরিবর্তি সময় অন্ন হয়ে খুজে সেই সেলসম্যান বিক্রয়কর্মী মেয়েক প্রচুর টাকা পয়সা খরচ করে সেই মেয়েকে উদ্ধার করে রাখে তার নিজের কাছে,,, পাশাপাশি নিয়মিত মধ্যপান ছিল তার পেশা, দলীয় ক্ষমতা কাটিয়ে সে প্রায় সময় উক্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের যুবকদের নিয়ে মধ্যপানের আড্ডায় লিপ্ত হতো এবং উপরের সকল বিষয় নবীগঞ্জের সচেতন মহলের কাছে স্বকৃীত