স্বৈরাচারের দোসর এবং গনহত্যায় জড়িত কেউ যেন বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে – আব্দুল্লাহ আল্ বেরুনী সৈকত

বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুর ০২ আসনের বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী এবং নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল্ বেরুনী সৈকত বলেছেন স্বৈরাচারের কোনো দোসর এবং গনহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এমন কেউ যেন বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে। গত ১৭ মে নেছারাবাদ উপজেলার সারেংকাঠী ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত ফরম বিতরণ ও সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এ আহ্বান জানান। সারেংকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ শহীদুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারের দোসরদের সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ড না থাকায় তারা খোলস পাল্টিয়ে বিএনপির ছাতার নিচে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করবে। তাই ফরম বিতরণ ও পূরনের ক্ষেত্রে সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ” “আওয়ামী লীগ থেকে কেউ যেন বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে” বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এ নির্দেশ সকলকে স্মরন করিয়ে দেন তিনি। আব্দুল্লাহ আল্ বেরুনী সৈকত আরো বলেন চুড়ান্ত সদস্য তালিকা অনুমোদনের ক্ষেত্রে পূরনকৃত ফরম যাছাই বাছাই করা হবে। সুতরাং সদস্য ফরমে সুপারিশ করার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলদের সতর্ক হতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন সাম্য ও মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মানে নেসারাবাদ উপজেলার সকল ইউনিয়নে সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ শুরু করেন তিনি। গত ১৬ মে উপজেলার সন্ধ্যা নদীর পূর্ব পাড়ের সমূদয়কাঠী, জলাবাড়ী,আটঘর কুড়িয়ানা ও স্বরুপকাঠী ইউনিয়নে ফরম বিতরণ কার্যক্রম উদ্ভোদন করেন আব্দুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত। পরদিন ১৭ মে পশ্চিম পাড়ের ৪ টি ইউনিয়নে সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকেন।

বিভিন্ন ইউনিয়নে তিনি ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ধৈর্য ধারন করুন। দেশ নেত্রী দেশে ফিরে এসেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ফিরে আসবেন আমাদের মাঝে। তার ঘোষিত ৩১ দফা কি সেটা মানুষের কাছে তুলে ধরুন। তিনি বলেন দেশ নিয়ে নানা মূখী ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন নিয়েও চলছে তালবাহানা। আগামী নির্বাচন খুব সহজ হবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে স্বৈরাচার হটিয়েছি এবং এ ঐক্য বিনষ্ট হতে দেয়া যাবে না। তিনি বলেন কিছু সংখ্যক অতি উৎসাহী নেতা কর্মীর কারণে আমরা এলাকায় সমালোচিত হচ্ছি। তাদেরকে বোঝান, ভুল পথ থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে আনুন। তারা আমাদের সহযোদ্ধা। তিনি বলেন একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগনই সিদ্ধান্ত দেয়ার মালিক। আপনারা দেখেছেন জনগণ বিপক্ষে দাঁড়ালে কি অবস্থা হয়। তাই আমাদেরকে জনগণের আস্হা অর্জন করতে হবে। জনগণ যেন আমাদের বিপক্ষে না যায়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের নীতি নৈতিকতার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগের দোসররা যেন বিএনপিতে পূনর্বাসন সুবিধা নিতে না পারে। জুলাই – আগস্টের গনহত্যায় অংশগ্রহনকারী স্বৈরাচারের দোসররা বিভিন্ন মামলার আসামী হয়ে এখন ঢাকা ছেড়ে গ্রামে এসে আশ্রয় নিয়েছে। তারা এখন স্হানীয় বিএনপির ছত্র ছায়ায় থেকে নিজেকে দলীয় কর্মী হিসাবে পরিচয় দিচ্ছে বলে তথ্য আছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় যা আমাদেরকে বিব্রত হতে হয়। আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে গনহত্যা মামলার আসামীরা যেন কোনো ভাবেই দলে আশ্রয় না পায়। তাদের আশ্রয়দাতা ও সমর্থনকারীদের চিহ্নিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সদস্য ফরম পূরণের ক্ষেত্রে দলের প্রতি অনুগত, ত্যাগী ও আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে থাকা নেতাকর্মীদের অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। তাদেরকেই নেতৃত্বে নিয়ে আসতে হবে।