উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি

নবজাগরণ ডেস্কঃ
আজ শনিবার শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নিয়মিত সভা শেষে এক অনির্ধারিত বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ মিলিত হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি মূল দায়িত্ব-নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার-নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করে, নির্বাচনপূর্ব ও সংস্কারকালীন এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিভিন্ন মহল থেকে অযৌক্তিক দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য এবং এখতিয়ারবহির্ভূত কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি, সংশয় ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করার এক ষড়যন্ত্রমূলক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

উপদেষ্টা পরিষদ জোর দিয়ে জানায় যে, দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং কাঙ্ক্ষিত সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে একটি বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সময়ের অনিবার্য দাবি। সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সকল পক্ষকে সম্পৃক্ত করে নিজের অবস্থান আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরবে।

বর্তমান সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উদ্ভূত গণমানুষের প্রত্যাশাকে সম্মান জানিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। শত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দায়িত্বশীলভাবে অর্পিত কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। তবে কোনো মহলের প্ররোচনায় কিংবা বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের কর্মকাণ্ডকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাধাগ্রস্ত করা হলে, সরকার তা প্রতিহত করতে বাধ্য হবে।

উপদেষ্টা পরিষদ স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে, যদি পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন অসম্ভব হয়ে পড়ে-তবে সরকার জনগণের সামনে সকল বিষয় উন্মোচন করে, দেশের স্বার্থে পরবর্তী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে পিছপা হবে না।

এই সরকার দেশকে একটি সুশাসনভিত্তিক, আত্মমর্যাদাশীল এবং গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য সকল মহলের সমন্বিত দায়িত্ববোধ ও সংবেদনশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করা হচ্ছে