নবজাগরণ রিপোর্ট :
ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন মেধার প্রতীক, কর্মজীবনে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে ছিলেন নিষ্ঠাবান, আর আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের একজন সম্মানিত মুখ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান এবং ১৯৭৭ সালের বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান-এই দুই সাফল্য দিয়েই শুরু তার পথচলা।
পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ও টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শেষে অর্থনীতিতে পিএইচডি, আইন ও কূটনীতিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করে তিনি হয়ে ওঠেন এক অনন্য আন্তর্জাতিক বাঙালি।
১৯৮৫ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে যোগদান করে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশসমূহ)-এর মুখপাত্র, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অর্থনৈতিক কমিটির প্রতিনিধি, আঙ্কটাড-এ বিশেষ উপদেষ্টা, এবং জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ ফ্ল্যাগশিপ রিপোর্টের প্রধান রচয়িতা হিসেবে তার দক্ষতা প্রশংসিত হয়েছে বহুবার।
২০০১ সালে ব্রাসেলস সম্মেলনে এলডিসি কর্মসূচির খসড়া প্রস্তুতে নেতৃত্ব দেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ।
অবশেষে, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে, তিনি নিযুক্ত হন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে-একটি সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।
আজ যখন তাকে ঘিরে বিদেশি অপপ্রচার চালানো হয়, তখন আমাদের মনে করিয়ে দিতে হয়-ড. খলিলুর রহমান কেবল একজন ব্যক্তি নন, তিনি বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার প্রতীক।
তাঁর মতো দক্ষ, সৎ, আন্তর্জাতিকভাবে অভিজ্ঞ মানুষ আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রে থাকাটা গর্বের, প্রয়োজনের, ইতিহাসের দাবি।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানকে ঘিরে ভারতীয় প্রোপাগান্ডা: একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান-কে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ভারতীয় কিছু মিডিয়ায় যে ধরনের অতিরঞ্জিত, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার চালানো হচ্ছে, তা কেবল একজন রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তার সম্মানহানিই নয়, বরং বাংলাদেশের স্বাধীন নিরাপত্তা কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের পেছনের উদ্দেশ্য
ভারতীয় মিডিয়ায় ড. খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো উত্থাপন করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে:
যুক্তরাষ্ট্রে ‘রজার রহমান’ নামে পরিচয় গোপন করে বসবাস: একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, ড. খলিলুর রহমান ‘রজার রহমান’ নামে যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন বসবাস করেছেন এবং তার পরিবারের সদস্যরাও সেখানে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন যে, ড. খলিলুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং তাই তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন না।
এই অভিযোগগুলোর উদ্দেশ্য স্পষ্ট: বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং দেশের নিরাপত্তা কাঠামোতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।
এদেশীয় ভারতীয় ‘র’ এজেন্টদের ভূমিকা
এই প্রোপাগান্ডাকে এদেশে সক্রিয় কিছু ভারতঘেঁষা গোষ্ঠী ও তথাকথিত ‘র’–ঘনিষ্ঠ এজেন্টরা উৎসাহ দিচ্ছে। এরা হলো সেই শ্রেণি, যারা নিজেদের স্বার্থে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে বিদেশি প্রপাগান্ডাকে মদদ দিচ্ছে।
ভারতের ‘পুশ-ইন’ নীতি ও বাংলাদেশের অবস্থান
সম্প্রতি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) ৬৬ জন ভারতীয় নাগরিককে খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে। ড. খলিলুর রহমান এই কর্মকাণ্ডকে ‘অনুপযুক্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন এবং বলেছেন যে, এ ধরনের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে হওয়া উচিত।
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি
এই প্রোপাগান্ডা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে ভারতের উদ্দেশ্য স্পষ্ট: বাংলাদেশের নিরাপত্তা কাঠামোকে দুর্বল করা এবং দেশের অভ্যন্তরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানকে ঘিরে ভারতীয় প্রোপাগান্ডা: একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান-কে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ভারতীয় কিছু মিডিয়ায় যে ধরনের অতিরঞ্জিত, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার চালানো হচ্ছে, তা কেবল একজন রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তার সম্মানহানিই নয়, বরং বাংলাদেশের স্বাধীন নিরাপত্তা কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের পেছনের উদ্দেশ্য
ভারতীয় মিডিয়ায় ড. খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো উত্থাপন করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে:
যুক্তরাষ্ট্রে ‘রজার রহমান’ নামে পরিচয় গোপন করে বসবাস: একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, ড. খলিলুর রহমান ‘রজার রহমান’ নামে যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন বসবাস করেছেন এবং তার পরিবারের সদস্যরাও সেখানে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন যে, ড. খলিলুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং তাই তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন না।
এই অভিযোগগুলোর উদ্দেশ্য স্পষ্ট: বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং দেশের নিরাপত্তা কাঠামোতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।
এদেশীয় ভারতীয় ‘র’ এজেন্টদের ভূমিকা
এই প্রোপাগান্ডাকে এদেশে সক্রিয় কিছু ভারতঘেঁষা গোষ্ঠী ও তথাকথিত ‘র’–ঘনিষ্ঠ এজেন্টরা উৎসাহ দিচ্ছে। এরা হলো সেই শ্রেণি, যারা নিজেদের স্বার্থে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে বিদেশি প্রপাগান্ডাকে মদদ দিচ্ছে।
ভারতের ‘পুশ-ইন’ নীতি ও বাংলাদেশের অবস্থান
সম্প্রতি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) ৬৬ জন ভারতীয় নাগরিককে খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে। ড. খলিলুর রহমান এই কর্মকাণ্ডকে ‘অনুপযুক্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন এবং বলেছেন যে, এ ধরনের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে হওয়া উচিত।
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি
এই প্রোপাগান্ডা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে ভারতের উদ্দেশ্য স্পষ্ট: বাংলাদেশের নিরাপত্তা কাঠামোকে দুর্বল করা এবং দেশের অভ্যন্তরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
আমরা এই তুখোড় মেধাবী রাষ্ট্রনায়কের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।