বিশেষ প্রতিনিধি : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের বানী প্রতি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পিরোজপুর ০২ আসনের বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ও নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল্ বেরুনী সৈকত। তিনি বলেন শহীদ জিয়া কেবল একজন প্রেসিডেন্ট ছিলেন না। তিনি ছিলেন জাতির নিরাপত্তা বলয়। গত ৩০ মে ২০২৫ তারিখে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ দিবস উপলক্ষে নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন শহীদ জিয়াউর রহমান আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার আদর্শ আমরা লালন করে চলেছি। তিনি বলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তৎকালীন মেজর জিয়া নিজ স্ত্রী সন্তানদের কথা চিন্তা না করে চট্টগ্রাম সেনানিবাস থেকে বিদ্রোহ করে বেরিয়ে যান। নিজের জীবনের নিরাপত্তার কথাও চিন্তা করেন নি। জাতির স্বাধীকার অর্জনের জন্য তিনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ঝাপিয়ে পড়েন স্বাধীনতা যুদ্ধে। মহান এ নেতা সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জেড ফোর্স এর প্রধান হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে অসাধারণ ভূমিকা পালন করার জন্য তিনি ” বীর উত্তম ” খেতাব অর্জন করেন। বিগত আওয়ামী স্বৈর শাসক তার এ খেতাবকেও কেড়ে নিয়েছল।
আব্দুল্লাহ আল্ বেরুনী সৈকত আরো বলেন, ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দেশে এক অশান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জাতীর ঐ ক্রান্তি লগ্নেও শহীদ জিয়া জাতির পাশে দাড়ান। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। বিদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করেন। তার নেতৃত্বে তলাবিহীন ঝুড়িকে খাদ্য শস্যে সম্বৃদ্ধশালী করে তোলেন। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সামরিক বাহিনীকে ঢেলে সাজানো হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের অশান্ত পরিবেশকে শান্ত করার জন্য সেখানে সেনা মোতায়েন করেন তিনি। দক্ষিণ তালপট্টি নিয়ে তার ছিল অনড় অবস্থান। এসব বিষয়ে পার্শবর্তী একটি দেশের চক্ষুশুলে পরিনত হন তিনি। তাদেরই গোয়েন্দা সংস্থার ইন্ধনে একদল বিপথগামী সেনা সদস্য আজকের এই দিনে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে।
আব্দুল্লাহ আল্ বেরুনী সৈকত আরো বলেন, যে চট্টগ্রাম থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান এদেশের জনগণের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছিল সেই চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসেই তাকে জীবন দিতে হয়েছে। বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়া কেবল একজন প্রেসিডেন্ট ছিলেন না। তিনি ছিলেন জাতির নিরাপত্তাবলয়। তাকে হত্যা করে সেই বলয় ভেঙে দেয়া হয়েছিল। তার পর থেকে দেশ ৪৪ বছর অতিক্রম করেছে। এর অধিকাংশ সময়ই দেশ ছিল স্বৈর শাসনের কবলে। তিনি আরো বলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়ার অবদানকে মুছে ফেলার জন্য তার উপাধি কেড়ে নেয়া হয়। পরবর্তী প্রজন্ম যেন জিয়াউর রহমানের নাম না জানে সে উদ্দেশ্যে সকল স্হাপনা থেকে তার নাম মুছে ফেলা হয়। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার সকল অপচেষ্টাই করা হয়। কিন্তু অদৃষ্টের কি নির্মম পরিহাস আজ তারাই জাতীর ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে। অপমানজনকভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। জাতি আজ রাহুরদশা থেকে মুক্ত।
আব্দুল্লাহ আল্ বেরুনী সৈকত উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার আদর্শ রয়ে গেছে এদেশের মানুষের মধ্যে। তাই আমাদের দায়িত্ব হল মানুষের কাছে তার আদর্শের বানী পৌঁছে দেয়া। আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। এ আদর্শকে যারা লালন করে তারা কখনো জনগণের অনিষ্ট করতে পারে না। শহীদ জিয়া যেভাবে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে আমাদেরকেও সেভাবে কাজ করে মানুষের মন জয় করতে হবে