বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সমূদয়কাঠীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: নাজমুল ইসলাম সাইদ শান্তি পূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার জন্য ইউনিয়নবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছায় তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি ইউনিয়নবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের সার্বিক অবস্থা টালমাটাল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়। রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের প্রতি কাঁদা ছোড়াছুড়িতে ব্যাস্ত। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে অন্তরবর্তীকালীন সরকারের মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সাধারণ জনগণের সার্বিক পরিবেশের উপর এর প্রভাব পড়ছে।
নাজমুল ইসলাম সাইদ ইউনিয়নবাসীর উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আওয়ামী লীগের পতনের পর এখন দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি তাদের কর্মসূচী নিয়ে মাঠে আছে। জামায়াতে ইসলামীও মাঠে তৎপর রয়েছে। নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির নেতৃত্ব এখন তিন ভাগে বিভক্ত। আর নেতৃত্বে গ্রুপিং এর সুবিধা নিচ্ছে তৃণমূল বিএনপির অতি উৎসাহী নেতাকর্মীরা। যার প্রভাব পড়েছে সমূদয়কাঠী ইউনিয়নেও। ০৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এ ইউনিয়নেও চাঁদাবাজি, সালিশ বানিজ্য, মিথ্যা মামলা দিয়ে বানিজ্য, প্রতিপক্ষের উপর হামলা, ঘর থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে আহত করা, কালভার্ট ও পুলের মালামাল চুরি ও আত্মসাৎ, ভিজিডি কার্ড বিতরণে অনিয়ম, একে অপরের বিরুদ্ধে সংবাদ সন্মেলন এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনা এলাকায় একের পর এক ঘটেই চলছে। এসব ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে অহরহ প্রকাশিত হচ্ছে যাহা সমুদয়কাঠী ইউনিয়ন সম্পর্কে অন্য এলাকার লোকের খারাপ ধারণার সৃষ্টি করছে।
তিনি গণমাধ্যমে এলাকার সুশীল সমাজ ও মুরব্বিদের উদ্দেশ্যে বলেন, এলাকায় মাদকদ্রব্য এখন সহজলভ্য। তাই প্রত্যেককে নিজ নিজ সন্তানের দিকে নজর রাখতে হবে যাতে আপনার সন্তান বা কাছের কেউ যেন মাদকে আসক্ত না হয়। বিগত কয়েক সংসদ নির্বাচনের সময় একজন প্রার্থী তার অবৈধ অর্থ নাবালক ও যুব শ্রেনির হাতে তুলে দিয়ে তাদের নৈতিক চরিত্র নষ্ট করে দিয়েছে। নাবালক ও যুব শ্রেনি মুরব্বিদের এখন যথাযথ সম্মান করে না। তাদের হাতে মুরব্বিরা নিগৃহীত হচ্ছে। তাই আমাদের সন্তানদের চলাচলের গতিবিধির উপর নজর রাখতে হবে। তারা যেন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে না পড়ে। তিনি তার পর্যবেক্ষণ থেকে বলেন, এলাকায় যা কিছু ঘটছে তা একটি রাজনৈতিক দলের নিজেদের মধ্যেই ঘটছে। আর এসকল ঘটনার জন্য উপজেলা বিএনপির ত্রী বিভাজন নেতৃত্বকেই দায়ী করছেন তিনি।
তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে আরো বলেন, এখন কোথাও নালিশের জায়গা নেই। কেউ কারো কথা শোনে না। তাই নিজ নিজ নিরাপত্তার প্রতি সজাগ থাকতে হবে। মানুষের মানসম্মান এবং জীবন এখন অনিরাপদ। কারো পাতানো ফাঁদে পা দেয়া যাবে না। অতি উৎসাহী কোনো আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে জনগণের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, স্বৈর শাসনের হাত থেকে দেশ এ পর্যায় এসে পৌঁছেছে। এ অবস্থাও বেশিদিন থাকবে না। তাই তিনি ইউনিয়ন বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, সব বিষয়ে ধৈর্য ধারন করুন, নেতৃত্বের পরিবর্তন হবে ইনশাআল্লাহ।