জনবান্ধব পুলিশিংয়ের নতুন দিগন্তে নোয়াখালীর এক সূর্যসন্তান-অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ

জনবান্ধব পুলিশিংয়ের নতুন দিগন্তে নোয়াখালীর এক সূর্যসন্তান: অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ

মো:আবু তাহের পাটোয়ারী :
বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর অন্দরমহলে যখন কাঙ্ক্ষিত রূপান্তর এবং গণমুখী সংস্কারের দাবি তীব্রতর, তখন আশার আলো হয়ে উঠে আসছেন কিছু আধুনিক চিন্তার, দক্ষ এবং মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ও উজ্জ্বল নাম হলেন-মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ, যিনি সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (BPSA) সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এই অর্জন এককভাবে শুধুমাত্র তাঁর নয়, বরং এটি একটি নিঃশব্দ বিপ্লবের প্রতীক-যা জনতার পুলিশের প্রতি আস্থার ভিতকে আরও দৃঢ় করবে।

BPSA: নীতিনির্ধারণে এলিট সংগঠন
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন শুধু একটি সংগঠন নয়-এটি হচ্ছে পুলিশের অভ্যন্তরে নীতিমালার রূপরেখা তৈরির কেন্দ্রবিন্দু। এই প্ল্যাটফর্ম থেকেই পুলিশের ভবিষ্যৎ কৌশল, সংস্কার প্রক্রিয়া, এবং প্রশাসনিক কাঠামোর বিকাশ ও পুনর্গঠন নির্ধারিত হয়।

চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা মাবুদের মত দক্ষ ও দূরদর্শী কর্মকর্তার এ সংগঠনে সহ-সভাপতি পদে আসীন হওয়া পুলিশের কাঠামোগত রূপান্তরের ক্ষেত্রে একটি সম্ভাবনাময় সূচনা।

কর্মদক্ষতা ও মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয়
ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়, মাবুদ প্রশাসনিক কার্যকারিতা, আর্থিক স্বচ্ছতা এবং মানবিক মূল্যবোধের এক বিরল উদাহরণ স্থাপন করেছেন। তাঁর অফিসে প্রতিটি ফাইল যেমন নিয়ম ও সময় মেনে এগোয়, তেমনি প্রতিটি সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।

তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট-“আইনশৃঙ্খলা শুধু কঠোরতা দিয়ে রক্ষা হয় না; জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে হয়।”

নোয়াখালীর জন্য এক অনন্য গর্ব
আবদুল মাবুদের শিকড় সেনবাগ উপজেলার, নোয়াখালীতে হলেও তাঁর কর্মপরিধি ছড়িয়ে গেছে সারা দেশে। তাঁর এই সাফল্য নোয়াখালীর গর্ব বহুগুণ বাড়িয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ বরাবরই প্রশাসনে অবহেলিত থেকেছে বলে অভিযোগ আছে। কিন্তু মাবুদের মতো নেতৃত্বের উত্থান দেখিয়ে দিয়েছে-প্রান্তিক এলাকা থেকেও উঠে আসা সম্ভব, নেতৃত্বেও থাকা সম্ভব।

চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনার যুগলবন্দি
বাংলাদেশ পুলিশ বর্তমানে তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি:
১. জনআস্থা পুনরুদ্ধার
২. প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি
৩. অভ্যন্তরীণ শুদ্ধাচার

এই তিনটি ক্ষেত্রেই মাবুদের ভূমিকা এখন থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কারণ, BPSA-তে থাকা মানেই হচ্ছে ভবিষ্যতের পুলিশ বাহিনীর রূপরেখা নির্ধারণে সরাসরি অংশগ্রহণ।

ভবিষ্যতের প্রত্যাশা:
পুলিশ সদস্যদের নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধে প্রশিক্ষণ

ডিজিটাল পুলিশিংয়ের প্রসার
নিরীহ নাগরিকদের হয়রানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা

পুলিশ বাহিনীতে দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি নিশ্চিতকরণ

এই প্রত্যাশাগুলোর বাস্তবায়নে একজন উদার, দূরদর্শী এবং কর্তব্যপরায়ণ সহ-সভাপতির প্রভাব অপরিসীম। আর মাবুদ ঠিক তেমনই একজন মানুষ।

নির্বিশেষে জনকল্যাণে আমাদের প্রত্যাশা:জনগণের পুলিশ গঠনের পথে আমাদের প্রয়োজন এমন নেতৃত্ব, যারা পদে বসে না থেকে কাজ করে। মাটির কাছাকাছি থেকেও যারা আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে না, বরং সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে জানে।

আমরা বিশ্বাস করি, মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ সে বিশ্বাসেরই প্রতীক।দেশবাসীসহ সকল শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান জনবান্ধন পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল মাবুদ দুলাল।

আল্লাহ তাকে সুস্থ রাখুন, এবং দেশসেবায় আরও বলীয়ান করুন।