মো: আবু তাহের পাটোয়ারী :
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার দৌলতপুর ভূঁইয়া বাড়ির সন্তান,সেনবাগের গর্ব, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল রাকিব কানাডায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন।(ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্নাইলাহে রাজিউন)
এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনাটি ঘটে কানাডার টরন্টোর নিকটে। স্বপ্ন ও সাফল্যের পথে ছুটে চলা এক দীপ্তিমান মানুষ, হঠাৎ করেই নিভে গেলেন। এই মৃত্যু শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো নোয়াখালীর সেনবাগ ও দেশের এক অপূরণীয় ক্ষতি।
কর্মের আলোকবর্তিকা ছিলেন তিনি
টিম গ্রুপের নেতৃত্বে থেকে রাকিব ভাই প্রমাণ করেছিলেন-সততা, পরিশ্রম আর প্রগতিশীল চিন্তা দিয়ে প্রবাসেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা সম্ভব। তিনি ছিলেন এক দূরদর্শী উদ্যোক্তা, সদা হাস্যোজ্জ্বল, মানবিক এক নেতা।
নোয়াখালীর গর্ব ও প্রেরণা
রাকিব শুধু পরিবারের নয়, এলাকার মানুষের কাছেও ছিলেন অনুপ্রেরণার উৎস। বহু প্রবাসী তরুণকে সহযোগিতা করেছেন কানাডায় প্রতিষ্ঠা পেতে। তাঁর মধ্যে ছিল একটি দেশপ্রেমিক হৃদয়, যা নীরবে দেশের জন্য ভাবত, কাজ করত।
একসঙ্গে গড়া স্মৃতি, এক নিমেষেই ছিন্ন
সকলের কাছে তিনি ছিলেন কেবল অভিভাবক, বন্ধু, উৎসাহদাতা। তাঁর একটি ফোন, একটি হাসি, একটি পরামর্শ-যেকোনো কঠিন সময়ে আশার আলো দেখাত। আজ সেই আলো নিভে গেছে, রেখে গেছে গভীর অন্ধকার।
হঠাৎ বিদায়-সহজে মানা যায় না
একটি দুর্ঘটনা এত মানুষকে এত শোকের সাগরে ভাসিয়ে দেবে, ভাবিনি কখনো। আজ তাঁর স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়স্বজনসহ সবাই নিঃশব্দে ভেঙে পড়েছে। কানাডা ও বাংলাদেশ-দুই প্রান্তের মানুষই বাকরুদ্ধ।
শেষ শ্রদ্ধা ও প্রার্থনা
আল্লাহ যেন রাকিব ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন।
তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারকে দেন ধৈর্য ও সবর করার শক্তি।
তিনি ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী, দায়বদ্ধ সমাজসেবী, ভালোবাসায় ভরপুর মানুষ। তাঁর অভাব কোনো দিন পূরণ হবে না। তবে তাঁর কর্ম ও স্মৃতির আলো আমাদের পথ দেখাবে, বারবার স্মরণ করাবে-একজন ভালো মানুষ হারিয়ে গেছেন।
ভুলবো না আপনাকে।
আপনার মতো মানুষ এই সমাজে বিরল। আপনি ছিলেন, আছেন, থাকবেন-আমাদের হৃদয়ে, প্রার্থনায়, প্রতিটি শোকাতুর নিঃশ্বাসে।
মো: আবু তাহের পাটোয়ারী
শোকাহত পরিবারের পক্ষ থেকে
(সেনবাগ, নোয়াখালী)