সেনবাগ, নোয়াখালী- প্রতিনিধি:
“এই রাষ্ট্র কেবল ধ্বংস আর হতাশার প্রতিচ্ছবি নয় – যদি আমরা চাই, এদেশের তরুণরাই পারে সমাজ পাল্টে দিতে, অন্যায়ের ভিত কাঁপিয়ে দিতে।”- এমন বলিষ্ঠ উচ্চারণে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচি।
জাতীয় যুব শক্তি-জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে থাকা মো: কামরুজ্জামান এর সার্বিক উদ্যোগে সেনবাগের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও উদ্যমী তরুণদের সাথে এক সরাসরি মতবিনিময় সভা এবং ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এই আয়োজন শুধুই একদিনের আনুষ্ঠানিকতা ছিল না – বরং এটি ছিল একটি বার্তা, এক ঘোষণা:
“তরুণদের জাগাতে হবে – খেলাধুলা, চিন্তা, আলোচনার মধ্য দিয়ে তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। এর মধ্য দিয়েই গড়ে উঠবে একটি মুক্ত, গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ।”
যে চিন্তা আন্দোলনে রূপ নিতে চায়
মতবিনিময় পর্বে কামরুজ্জামান স্পষ্ট ভাষায় বলেন –
“এমন রাষ্ট্র চাই, যেখানে মেধা পাবে মূল্য, শ্রমিক পাবে মর্যাদা, আর তরুণ পাবে নেতৃত্বের সুযোগ। আমরা খেলাধুলার মতো স্বাস্থ্যকর চর্চার মধ্য দিয়ে তরুণদের শরীর ও মনের বিকাশে কাজ করব। এই কার্যক্রম থেমে থাকবে না – আরও বিস্তৃত হবে, তৃণমূল পর্যন্ত যাবে।”
এই উদ্যোগে অংশ নেয় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ক্রীড়াপ্রেমী তরুণ, শিক্ষক-অভিভাবক ও রাজনৈতিক সচেতন নাগরিকরা। সভায় উঠে আসে স্থানীয় যুবসমাজের অবক্ষয়, মাদকের ছোবল, রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা এবং রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের চেতনা।
একটি রাজনৈতিক বিকল্পের সুর
অনুষ্ঠানজুড়ে অনুভূত হয় একটি স্পষ্ট বার্তা –
যে রাজনীতি তরুণদের কথা বলে না, তাদের স্বপ্ন দেখে না, সেই রাজনীতি বাতিল করে দিতে হবে। এনসিপি একটি বিকল্প – সংগ্রামের, সংগঠনের, সক্রিয়তার।
এই উদ্যোগ নিছক ‘ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ’ নয়, এটি এক আন্দোলনের বীজ, যা পল্লী থেকে শহরে ছড়িয়ে দিতে চায় ‘জবাবদিহিমূলক সমাজ’-এর ভাবনা।
এই উদ্যোগে অংশ নিতে আগ্রহীদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে স্থানীয় এনসিপি প্রতিনিধিদের সাথে।
“তরুণরা জাগলে, অন্যায় থমকে দাঁড়ায়”
নোয়াখালীর সেনবাগের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ এক দিন জাতীয় পর্যায়ে আলোড়ন তুলতে পারে – যদি তা সংগঠিতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। আর সেই যাত্রায় প্রয়োজন এমন উদ্যোগ, এমন মানুষ – যারা শুধু কথা বলে না, কাজ করে।