নির্মমতার শিকার লাকি, চার যুবকের হাতে চলে গেল এক নারীর জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নাটোরের সিংড়ায় মহাসড়কের পাশের ধানক্ষেতে পড়ে থাকা অজ্ঞাত নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তিনি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শিমলা গ্রামের মোছাঃ শামসুন্নাহার লাকি (৩৫)। তার স্বামীর নাম মোঃ গোলাপ হোসেন।

গত ৮ জুন (রোববার) বিকেলে বাবার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্বামীর বাড়ি থেকে বের হন লাকি। সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে তার বাবার বাড়ি। কিন্তু পথ আর শেষ হয়নি তার। পরদিন দুপুর আড়াইটার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের জোলারবাতা এলাকার ফলিয়া ব্রিজের কাছে ধানক্ষেতে পাওয়া যায় তার লাশ। স্থানীয়রা লাশ দেখে সিংড়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

শুরুর দিকে মরদেহের পরিচয় মেলেনি। এরপর সিআইডি ও পিবিআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তে নামে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবশেষে বেরিয়ে আসে লাকির পরিচয় ও ঘটনার নেপথ্য কাহিনি। মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতেই পুলিশ অভিযানে নামে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে চার যুবককে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার হওয়া চারজন হলেন: ১। মোঃ রিফাত (১৮), পিতা সামিজুল ইসলাম
২। মোঃ রিয়াজুল (২০), পিতা খলিলুর রহমান
৩। মোঃ মোর্শেদ (২০), পিতা আলাল
৪। মোঃ সোহান (১৮), পিতা বাবলু বেপারী
তারা সবাই নাটোরের সিংড়া পৌর এলাকার দমদমা মহল্লার বাসিন্দা।

নাটোর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আমজাদ হোসাইন জানান, “আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে জানানো হবে।”

একজন নারীর নিঃসঙ্গ লাশ ধানক্ষেতে পড়ে ছিল। যেখানে থাকা কথা ছিল তার বাবার ঘরে, সেখানে পৌঁছানো হয়নি আর। লাকির মতো আর কেউ যেন এভাবে না হারিয়ে যান—এই প্রত্যাশা রইল সমাজের কাছে।