নবজাগরণ ডেস্ক-মো: আবু তাহের পাটোয়ারী :
ইরানের রাজধানী তেহরান হঠাৎ করে যেন বৈশ্বিক ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুতে! একদিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি হুমকি দিচ্ছেন: “আমরা জানি আয়াতুল্লাহ কোথায় আছেন, চাইলে এখনই মারতে পারি!” আরেকদিকে গাজায় রক্ত ঝরিয়ে, সিরিয়ায় আগুন লাগিয়ে, লেবাননে বোমা ফেলে, এবার ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করে আবার চোখের জলে সহানুভূতি কামনা করছে পশ্চিমা দুনিয়া! একে কি যুদ্ধ বলবেন? না কি ধর্মীয় বিদ্বেষে ভরপুর আগ্রাসন?
না প্রিয় পাঠক, এটা কেবল ইরান বনাম ইসরায়েলের যুদ্ধ নয়। এটা প্রকৃতপক্ষে আমেরিকা বনাম মুসলিম অস্তিত্বের যুদ্ধ। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্যই প্রমাণ করে যে, ইসরায়েল স্রেফ তাদের “প্রক্সি মিলিশিয়া”- মূল খেলোয়াড় হচ্ছে ওয়াশিংটন ডিসি!
ইসরায়েলের হামলা – মুসলিম সভ্যতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ঘোষণা
ইসরায়েল প্রথমে আঘাত হানে:
🔺 ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যায় মোসাদের সন্ত্রাস
🔺 দামেস্কে হামলা, সিরিয়ার বিমানঘাঁটি ধ্বংস
🔺 হিজবুল্লাহ বা হুথিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ মানেই ‘সন্ত্রাস’?
কিন্তু যখন ইরান পাল্টা জবাব দেয়, তখন আন্তর্জাতিক মিডিয়া চিৎকার করে উঠে-“ইরান যুদ্ধ শুরু করেছে”!
ধিক্কার এই দ্বিচারিতা, ধিক্কার এই জঘন্য ভণ্ডামিকে!
G7 = Global Gang of Greed: সাম্রাজ্যবাদের মুখোশ উন্মোচন!
G7 জোট মূলত লুটেরাদের এক আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট। তাদের কূটনীতি হচ্ছে-
➤ “তেল থাকলে তোমার দেশে গণতন্ত্র নেই।”
➤ “ইসরায়েল হামলা করলে আত্মরক্ষা, মুসলিম দেশ করলে সন্ত্রাস।”
➤ “আমরা পারমাণবিক বোমা রাখলে শান্তির প্রতীক, মুসলিম রাষ্ট্র চাইলে বিপদ!”
ইরান আজ একমাত্র প্রতিবাদী কণ্ঠ যারা বলে, “আমরা মাথা নত করবো না!” এ কারণেই বিশ্বব্যাপী দানবরা আজ ভয় পাচ্ছে। কারণ তারা জানে, ইরান হেরে গেলেও পেছনে একটা আগুন রেখে যাবে, যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগুনে রূপ নিতে পারে।
এই যুদ্ধ ধর্মীয়ও, ভূ-রাজনৈতিকও -মুসলিম জাতির অস্তিত্ব সংকট
এই যুদ্ধ কেবল ভূখণ্ডের জন্য নয়, বরং এটি আদর্শের জন্য। ইসলামি বিপ্লবের আদর্শকে ধ্বংস করতে না পারলে পশ্চিমা পুঁজিবাদ টিকবে না।
🔹 তেল চুরি করতে হলে ইরানকে ধ্বংস করতে হবে,
🔹 ইসলামী ঐক্য গড়তে না দিতে হলে শিয়া-সুন্নি বিভাজন তৈরি করতে হবে,
🔹 ফিলিস্তিনকে বিলীন করতে হলে তেহরানকে নির্বাক করতে হবে।
ইরান যদি পড়ে যায়, মুসলিম উম্মাহ পড়ে যাবে
ইরান যদি হেরে যায়, তাহলে এটা শুধু একটি দেশের পতন নয়। এটি হবে শেষ ইসলামী প্রতিরোধের পতন। মুসলিম বিশ্ব আজ পারমাণবিক অস্ত্রহীন, অর্থনৈতিকভাবে পরনির্ভরশীল, ভ্রাতৃঘাতী রাজনীতিতে বিধ্বস্ত। ইরান একমাত্র শক্তি যার সামরিক প্রস্তুতি, আদর্শিক দৃঢ়তা ও জনআন্দোলন রয়েছে। তাই তারা জানে-
➡ “হারলেও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ তৈরি করবো, কিন্তু মাথা নত করবো না!”
মুসলিমবিশ্বের শেষ কথাঃ সময় এসেছে মুসলিম বিশ্বের নবজাগরণের
এই মুহূর্তে আর চুপ করে থাকা মানেই অপরাধ। এখনো যারা ভাবছেন, এটা ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধ, তারা বোকাদের স্বর্গে বাস করছেন। এটা প্রতিটি মুসলমানের অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ। পশ্চিমা আগ্রাসনের প্রতিচ্ছবি ইসরায়েল, আর মুসলিম সাহসিকতার নাম ইরান।
আমরা হয় লড়বো, নয়তো ইতিহাসের সবচেয়ে লজ্জাজনক পরিণতির সাক্ষী হবো।
স্মরণে রাখো:
“যে জাতি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে না, সে জাতি ধ্বংস হয়ে যায়+এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।”
🔺