ইহুদীবাদী উদ্বাস্তুরা আজ রাত কাটায় বাঙ্কারে – যে দৃশ্য কোটি কোটি মুমিনের হৃদয়ে শান্তির বারতা আনে

নবজাগরণ রিপোর্ট :
– আমরা যুদ্ধ চাই না, কিন্তু অবিচার দেখেও চুপ থাকতে পারি না!

তেল আবিব, হাইফা কিংবা আশদোদ -এক সময় ইসরায়েলের এই শহরগুলো ছিল ঘরছাড়া ফিলিস্তিনিদের আর্তনাদের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা বিলাসবহুল ইহুদি বসতি। আজ সেই সব শহরের আকাশজুড়ে বিষাক্ত সাইরেনের শব্দ, বিস্ফোরণের ধ্বনি, আর নিচে বাঙ্কারে ঠাসাঠাসি করে ঘুমাতে চাওয়া উদ্বাস্তুরা। কেউ শিশু, কেউ বৃদ্ধ – তাদের চোখে ভয়, মনে আতঙ্ক, বুকে অনিশ্চয়তা।

এই ছবি দেখে কেউ কাঁদে, কেউ স্তব্ধ হয় – কিন্তু কোটি কোটি মুমিনের হৃদয়ে এতে এক ধরনের শীতল প্রতিশোধের সুবাতাস বয়ে যায়। আল্লাহর হুকুমে অন্যায় তো চিরস্থায়ী নয়। আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের শপথই তো একেকজন মুসলিমের ঈমানের অন্তর্নিহিত শক্তি।

ইতিহাসের চাকা ঘুরছে?

১৯৪৮ সালে জোর করে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে ‘ইসরায়েল’ নামে যে অবৈধ রাষ্ট্র গড়ে তোলা হয়েছিল, তাদের সেই সামরিক ও গোয়েন্দা আধিপত্য আজ প্রশ্নবিদ্ধ। একদিকে হামাস, হিজবুল্লাহ, হুথি এবং সিরিয়া থেকে আসা প্রতিরোধ যোদ্ধারা; অন্যদিকে ইরানের প্রতিরক্ষামূলক প্রতিশোধ। আর এই যুদ্ধে আমেরিকার “আয়রন ডোম” আর মিথ্যা আশ্বাসের মধ্যেই কেঁপে উঠেছে তেল আবিবের হৃদয়।

ইসরায়েলিরা এখন নিজেদের গড়ে তোলা সেই বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে বাঙ্কারে যাচ্ছে, যেখানেও তারা নিরাপদ নয়। রাতে ঘুম নেই, দিনে আতঙ্কে কাঁপে। ছুটছে সীমান্তের দিকে, কেউ গ্রীস, কেউ সাইপ্রাস, কেউ ফ্রান্স -অথচ ফিলিস্তিনিরা আজও গাজার ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে বলে:
“আমরা শহীদ হতে এসেছি, হার মানতে নয়!”

মানবতা ও গণতন্ত্রের মুখোশ ছিঁড়ে গেছে

পশ্চিমা মিডিয়া আজও ইসরায়েলকে “ভিকটিম” দেখাতে চায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো – যারা অন্যের জমি দখল করে, যাদের হাতে রক্তে রঞ্জিত শিশুদের লাশ, তাদেরকে কিভাবে আর নিরীহ বলা যায়? আজকের এই উদ্বাস্তুর ছবি যেন সময়ের সেই অবিচারের প্রতিশোধ। গাজায় যখন শিশুদের ওপর ফসফরাস বোমা বর্ষণ হয়েছে, তখন তো পশ্চিমা বিশ্ব চুপ ছিল! আজ সেই পাশ্চাত্যের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রেই উদ্বাস্তু হচ্ছে ইসরায়েলিরা।

শান্তি চাই, কিন্তু ন্যায়বিচার ছাড়া নয়

আমরা যুদ্ধ চাই না -এটা সত্য। কারণ ইসলাম শান্তির ধর্ম। কিন্তু যখন শান্তির নামে অবিচার চাপিয়ে দেওয়া হয়, যখন অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ মানেই ‘সন্ত্রাস’ বলে অপবাদ দেওয়া হয়, তখন সেই ‘শান্তি’ হয় নিষ্ঠুরতা। আর মুমিন কখনোই অন্যায়ের সামনে নতজানু হতে পারে না।

ইহুদি সন্ত্রাসীরা আজ নিদ্রাহীন রাত পার করছে -এতে মানবতা কাঁদে না, বরং ইতিহাস হাঁসছে। জুলুমের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা কোনো রাষ্ট্র, কোনো আদর্শ টিকতে পারে না – ফারাওনের রাজত্ব, হিটলারের জার্মানি, বা ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ – কেউ টেকেনি।

ডিল মারলে পাটকেল ক্ষেতে হয় পরিনতি ও শেষ কথা

আল্লাহ দেরি করেন, কিন্তু অবহেলা করেন না।
যে শিশুর লাশের সামনে দাঁড়িয়ে আজ আমরা শপথ করেছি- ‘পেছনে যাওয়া নয়’, সেই শিশুর চোখের পানি দিয়ে একদিন নতুন পৃথিবী লেখা হবে।

আজ তেল আবিব কাঁদছে, গাজা দাঁড়াচ্ছে।
বিজয় আসবেই। ইনশাআল্লাহ।