নবীগঞ্জ প্রতিনিধি।
নবীগঞ্জে ডেভিল হান্ট অপারেশনের মাধ্যমে প্রকৃত শয়তানদের গ্রেফতার করে ছাত্র-জনতার কাছে প্রশংসায় ভাসছেন নবীগঞ্জ থানার এসআই মোঃ সুমন মিয়া। ধারাবাহিকভাবে ডেভিল হান্ট অপারেশন পরিচালানা করে নিষিদ্ধ সংগঠনের অভিযুক্ত আওয়ামিলীগের চিহ্নিত পদধারী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অভিযানে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আইনী প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এতে করে নবীগঞ্জ উপজেলাজুড়ে ছাত্র-জনতার মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। ডেভিলদের গ্রেফতার করার পর এসআই মোঃ সুমন মিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করছেন নবীগঞ্জের সর্বসাধারণ মানুষ৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নবীগঞ্জের মানুষ লিখছেন, এসআই মোঃ সুমন মিয়াকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তিনি সততার সাথে নিষ্ঠার সঙ্গে প্রকৃত ডেভিলদের গ্রেফতার করছেন। এ অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান শতাধিক ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টে। অপরদিকে নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামিলীগের সদস্য প্রথম সারির নেতা লেবাসধারী সাংবাদিক ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিল হোসেনকে গ্রেফতার করায় এসআই মোঃ সুমন মিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে যুব এবং তরুণ সমাজের ফেসবুক পোস্ট ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। আওয়ামিলীগের রাজনীতির ঘাঁ ঢাকা দিতে অনেক ডেভিল এখন নিজেদের নামের পাশে সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছেন। এতে করে মূলধারার সাংবাদিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করছেন মাঠ পর্যায়ের প্রকৃত সাংবাদিকরা।এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরফরাজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ডেভিল হান্ট অপারেশনের মাধ্যমে অপরাধীরা গ্রেফতার হচ্ছে। পুলিশের কাজ প্রশংসার দাবীদার। নবীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রাকিব আহমেদ বলেন, প্রকৃত ডেভিলরাই গ্রেফতার হচ্ছে। পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। নবীগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আরো বড় পরিসরে ডেভিলদের গ্রেফতার করা হোক৷ পুলিশের অভিযানকে সাধুবাদ জানাই। পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জাকারিয়া আহমেদ বলেন, প্রকৃত ডেভিলরাই গ্রেফতার হচ্ছে । ডেভিল গ্রেফতার করলেও পুলিশ পড়ছে বেকায়দায়। কারণ আওয়ামিলীগের দালালরা খোলসপাল্টে একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে। অভিযান অব্যাহত থাকুক।
