নতুন যুদ্ধের আগুনে ঘি ঢালছে আমেরিকা-ইউরোপ! রাশিয়া হুঁশিয়ার, ভারত-ইসরায়েলী গুপ্তচরশক্তির নিশানায় এখন ইরান

নবজাগরণ ডেস্ক:মো:আবু তাহের পাটোয়ারী:
আবারও ইতিহাসের মোড়ে দাঁড়িয়ে বিশ্ব দেখছে আগুনের নৃত্য। ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ সীমা ছাড়িয়ে গেছে, কিন্তু তাতে পানি ঢালার বদলে আগুনে ঘি ঢালছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার মুখ খুলেছে রাশিয়া-সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ:

“যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ শুধু পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করবে না, বরং এটি হবে আরেকটি ভয়াবহ উত্তেজনার সিঁড়ি।”

যুদ্ধ নয়, গণহত্যা!
ইসরায়েলের প্রতিটি আগ্রাসনে স্পষ্টতই দেখা যায়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় গণহত্যার নতুন রূপ। বিশ্ব চুপ, মানবতা বোবা, জাতিসংঘ আজ যেন নীরব খুনির চাকর। আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি-সকলেই এক রকমভাবে মুসলিমবিরোধী ঐক্যে রূপ নিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যকে আগুনে পুড়িয়ে, মুসলিমদের মেধা, শক্তি ও ঐক্যকে নিশ্চিহ্ন করার নীলনকশা বাস্তবায়নে অগ্রসর এই তথাকথিত সভ্যতা।

ইরানের বিজ্ঞানীরা কেন বারবার খুন হন?
আমরা ভুলে যাই না-ইরানের অসংখ্য পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা বর্বরভাবে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কে করেছে? প্রমাণের অভাব নেই-ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ, এবং ভারতের RAW এই হত্যা মিশনে ছিল সরাসরি জড়িত।

🇮🇳ভারত: মোসাদের ছায়ায় এক নতুন ইহুদি চর রাষ্ট্র!
যেমন ইসরায়েলের কোনো প্রতিবেশী দেশ তাকে ভালোবাসে না, তেমনি ভারতের আশেপাশেও নেই কোনো বন্ধু। শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ-প্রতিটি রাষ্ট্র ভারতের হিন্দুত্ববাদী নীতিকে ঘৃণা করে। আজকের ভারত একটি আঞ্চলিক দানবে রূপ নিচ্ছে, যার একমাত্র শিক্ষা হচ্ছে মুসলমানদের হত্যা, তাদের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে নিজস্ব ব্রাহ্মণ্যবাদ প্রতিষ্ঠা।

ইরানের উত্তর: প্রতিরোধই এখন ন্যায়বিচার
ইরানের হাজার হাজার অবসরপ্রাপ্ত সেনা স্বেচ্ছায় যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন। তারা জানেন, এবার আর পিছু হটার জায়গা নেই। কারণ, এখনকার যুদ্ধ কেবল ভূখণ্ড বা ভূরাজনীতির নয়-এটি অস্তিত্বের। ন্যায়বিচার বনাম নিপীড়নের, ইমান বনাম সাম্রাজ্যবাদের লড়াই।

এই যুদ্ধে নিরপেক্ষতা কাপুরুষতা!
আজ যারা নিরপেক্ষতার গল্প শুনায়, তারা হয় বুদ্ধিবিকৃত, নয়তো দাসত্বে অভ্যস্ত। আজ কথা বলতেই হবে। কারণ, একদিকে একটি রাষ্ট্র বাঁচার জন্য লড়ছে, অন্যদিকে একটি অবৈধ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতায় হত্যা করছে শিশু, নারী ও নিরস্ত্র মানুষ। যারা এখনো নীরব, তারা অপরাধীদের শরিক।

পরবর্তী টার্গেট ভারত?

যদি ইসরায়েলের পাপের গ্লানি এখন তার জনগণকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনায় বাধ্য করে, তাহলে ভারতের সে দিন আর খুব দূরে নয়। মুসলমানদের রক্তে যাদের রাজনীতি পুষ্ট হয়, তাদের পতন অনিবার্য। যুদ্ধ নয়, প্রতিরোধের জবাব হবে আগুন দিয়ে, ইতিহাস দিয়ে, ইমান দিয়ে।

শেষ কথা:ইসলামের সুমহান মর্যাদা বীরোচিত আত্মত্যাগ নিঃস্বার্থ ও জনকল্যাণ
ইসলামের ইতিহাস বলে, আমরা কখনো যুদ্ধকে ভালোবাসি না, কিন্তু যখন কেউ আমাদের ঘরে আগুন দেয়, তখন সেই আগুনে আমরা শত্রুকে পুড়িয়ে ফেলি। আজ সময় এসেছে কাবার ঘরের সন্তানদের আবার জাগ্রত হওয়ার। আবার ‘ইয়া আলী’ ধ্বনি উঠুক! আমেরিকার বাহাদুরি আর মোসাদ-RAW-এর গুপ্তচরবৃত্তি রুখে দাঁড়াক ইমানদার জনতা।

www.Nabajagaran.com সবাই শেয়ার করুন