নবজাগরণ বিশেষ বিশ্লেষণ
শতাব্দীর ‘চোখে আঙুল’ হামলা: ইরানি মেধা-বিজ্ঞান ইসরায়েলের অহংকার চূর্ণ করে দিলো
নবজাগরণ ডেস্ক-মো: আবু তাহের পাটোয়ারী :
ইতিহাস সাক্ষী রাখলো এক ভয়ংকর, অবিশ্বাস্য, কিন্তু অবধারিত ঘটনার। মুসলিম সভ্যতার বুকে খোদাই হয়ে গেল এক নতুন অধ্যায়-যেখানে ইরান, তাদের মেধা, প্রযুক্তি আর ঈমানের শক্তিতে ধ্বংস করে দিলো এক ‘অপরাজেয়’ ভাবনার প্রতীক ইসরায়েলকে।
ইরানের মারণ-বিজ্ঞান বনাম ইসরায়েলের অহমিকা
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্র নয়-ছুঁড়েছে চিন্তাশক্তির ফসল, ইসলামি প্রযুক্তির অস্ত্র। তেল আবিব, হাইফা, ডিমোনা, ও নেভাতিমের মতো ইসরায়েলের মূল সামরিক ও বৈজ্ঞানিক ঘাঁটিগুলো চুপচাপ একে একে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। তথাকথিত ‘আয়রন ডোম’ একের পর এক ব্যর্থতায় প্রমাণ করেছে: আধিপত্যের নামে দাঁড়ানো প্রযুক্তি মাটির চেয়ে মূল্যহীন, যদি তার ভিতরে নৈতিকতা ও ন্যায়ের বীজ না থাকে।
রাস্তায় ইসরায়েলিরা, মুখে ‘মাফ চাও’ ধ্বনি
গেল রাতেই ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের রাজপথে দেখা গেছে অভাবনীয় দৃশ্য-শত শত সাধারণ ইসরায়েলি নাগরিক হাতে প্ল্যাকার্ড, গলায় সাদা কাপড়, চিৎকার করছে:
“আমাদের বাঁচাও!”
“ইরান, থামো!”
“পাকিস্তান, তোমরা কথা বলো ইরানের সাথে!”
বিশ্ব ইতিহাসে প্রথমবার, যারা এতকাল অন্যদের ‘নাক মুচড়ে’ নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতো, তারা আজ অন্য রাষ্ট্রের কাছে ‘প্রাণভিক্ষা’ করছে।
পাকিস্তান: ‘মধ্যস্থতা’র অভিনব চাপ
দুবাই, দোহা, কায়রো হয়ে ইসলামাবাদ-পাকিস্তানকে এখন এক চাপের মুখে ঠেলে দিয়েছে ইসরায়েল ও তার পশ্চিমা মিত্ররা।
তারা চাইছে, ইরান যেন থেমে যায়!
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে-ইরান কেন থামবে?
যখন একদিকে মুসলিম বিশ্বের শতাব্দীর আক্রোশ, অন্যদিকে প্রযুক্তি, স্নায়ুযুদ্ধ আর প্রতিরোধের পূর্ণতা, তখন এই বিজয় শুধু সামরিক নয়-এই বিজয় আদর্শিক, কৌশলগত ও ঐতিহাসিক।
ইরান যা করেছে-তা একটি বার্তা:
“আমরা যুদ্ধ চাইনি, কিন্তু আর মাথা নিচু করবো না।”
“বায়ু, মাটি, মহাকাশ-সব জায়গায় আমরা প্রস্তুত। এবার আমাদের পালা।”
বিপ্লবের গর্ভে নতুন ইসলামি বিশ্ব
আজকের এই ইরান-শুধু এক রাষ্ট্র নয়।
এ এক প্রতীক।
মুসলমানদের হাজার বছরের গ্লানি, করুণ আর্তনাদ, ও গৌরবের মহাবিপ্লবী প্রতিশোধ!
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গোয়েন্দা দক্ষতা, সাইবার আক্রমণ-সব একসাথে মিলে এমন এক ভয়ংকর বাস্তবতা তৈরি করেছে, যেখানে ইসরায়েল কেবল পরাজিত নয়, পৃথিবীর চোখে নগ্ন হয়েছে।
বিশ্লেষকের মন্তব্য:
বিশ্ব রাজনীতিতে আজ থেকে ‘পূর্ব’ আর ‘পশ্চিম’ কথার অর্থ বদলে যাবে।
ইরানের এই হামলা কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নয়, এটি একটি পুরো পরাশক্তির নৈতিক, সামরিক ও কৌশলগত পতনের শুরু।
পশ্চিমা মিত্রদের মুখ থুবড়ে পড়া কূটনীতি ও ভন্ডামির যুগ শেষের পথে।
মুসলিম বিশ্বের গৌরবের ইতিহাসের জম্ম দিয়েছে ইরান:
ইসরায়েল ভাবত-তারা অজেয়।
ইরান দেখিয়ে দিল-যেখানে আদর্শ আছে, সেখানে বিজ্ঞান হয়ে ওঠে তলোয়ার।
এই মুহূর্ত থেকে শুরু হলো নতুন এক যুগ:
‘ইসলামি প্রযুক্তির বিপ্লব’,
‘সাম্রাজ্যবাদী অহংকারের পতন’,
আর ‘মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সীমানার জন্ম’।
সবাই শেয়ার করুন