আন্তর্জাতিক ডেস্ক-নবজাগরণ:
যখন গোটা মুসলিম বিশ্ব ঘুমিয়ে আছে তেল আর বিলাসের বালিশে মুখ গুঁজে-ঠিক তখনই এক নারী, এক যোদ্ধা, এক কন্যা-শত্রুদের ছলনার আগুনে পোড়া এক মৃত সাম্রাজ্যের উত্তরসূরি-এক আগুনঝরা বার্তা ছুঁড়ে দিয়েছেন ইরানকে, গোটা উম্মাহকে। তার নাম আয়েশা গাদ্দাফি।
তিনি বলেন,
“যারা মাথা নত করে, তারা ইতিহাসে টিকে না। যারা প্রতিরোধ করে, তাদেরই নাম লেখা হয় শিরদাঁড়া সোজা করে বেঁচে থাকা মানুষের হৃদয়ে।”
এই কথা শুধু আবেগের নয়-এ এক রক্তঝরা চুক্তি, ইতিহাসের অগ্নিপতাকা।
লিবিয়ার ছারখার কঙ্কাল থেকে যে চিৎকার ওঠে, তা হলো সতর্কবার্তা-ইরানের জন্য, আমাদের জন্য
গাদ্দাফি মাথা নত করেছিলেন, যুদ্ধ এড়াতে চেয়েছিলেন। পশ্চিমারা বলেছিল:
“তুমি ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়ো, আমরা তোমাকে স্বাগত জানাবো।”
তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল শান্তির।
তারা বলেছিল, “তুমি যদি আমাদের মতো হও, আমরা তোমার বন্ধু হবো।”
কিন্তু সেই “বন্ধুত্বের” ফল কী হয়েছিল?
নরকে ছুড়ে ফেলা হয় স্বাধীন লিবিয়াকে।
ন্যাটোর বোমা ছিঁড়ে খায় গাদ্দাফির দেহ।
তেল ছিনিয়ে নেয় পশ্চিমারা, বেঁচে থাকে শুধু আগুন, ধ্বংস আর লাশ।
আজ এই একই প্রলোভনের খেলা খেলছে ইরানের সাথে। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স-এই হায়েনারা কাঁধে পবিত্রতার মুখোশ পরে বলে যাচ্ছে:
“শান্তি চাই, পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করো।”
আয়েশা চিৎকার করে বলছেন-“ওটা ফাঁদ, ওটা জাল, ওটা এক সরাসরি মৃত্যু-সংবাদ।”
ইরান যদি মাথা নত করে, আগামীকাল গাজা ধ্বংস হবে, পরশু মক্কা-ওয়াশিংটনের কনসুলেটে পরিণত হবে
ইরান শুধু একটি রাষ্ট্র নয়-এটি হলো প্রতিরোধের শেষ ব্যারিকেড।
এটি হলো হিজবুল্লাহর পেছনের পাহাড়।
এটি হলো ইয়েমেনের হুথিদের বুকে সাহস জোগানো মশাল।
এটি হলো গাজার শিশুদের শেষ আশার নাম।
ইরান যদি মাথা নত করে, পরাজিত হবে শুধু এক দেশ নয়-পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত গোটা মুসলিম উম্মাহ হারাবে আত্মমর্যাদা।
তাহলে আয়েশার এই চিৎকার এক মায়ের কণ্ঠস্বর নয়,
এটা হলো ঘুমন্ত জাতিকে ঘুষি মেরে জাগিয়ে তোলার শেষ প্রচেষ্টা।
পশ্চিমাদের প্রতিশ্রুতি বিষধর সাপের মিষ্টি ফোঁসফোঁসানি মাত্র
আয়েশা মনে করিয়ে দেন,
“তারা বলেছিল বন্ধুত্ব দেবে, কিন্তু দিয়েছে আগুন। তারা বলেছিল স্বীকৃতি দেবে, কিন্তু দিয়েছে ফাঁসি। তারা বলেছিল সম্মান দেবে, কিন্তু দিয়েছে কাদায় গড়াগড়ি খাওয়া লাশ।”
আজ যদি ইরান, হিজবুল্লাহ, হুথি, হামাস, অথবা পাকিস্তানের তরুণরা এই ছলনায় পড়ে-তবে কাল লাল রঙের ঝাণ্ডায় আর থাকবেনা লাল রক্ত, থাকবে শুধুই আত্নসমর্পণের কালো ছায়া।
শত্রুরা তোমার দুর্বলতার অপেক্ষায়, আর আয়েশা তোমার জাগরণের গান গাইছে
আজ যখন আরবরা চুপ, আজ যখন ওআইসি গলা কাটার ভিডিও দেখে শুধু বিবৃতি দেয়, তখন আয়েশা গাদ্দাফির আহ্বান যেন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে।
তিনি শুধু বলেননি, তিনি আগুন হয়ে উঠেছেন।
তার চোখ থেকে আগুন ঝরে:
“আত্মসমর্পণ নয়, প্রতিরোধই জাতির গৌরব!”
ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে, তুমি কী করবে?
তুমি কি মাথা নত করে ফেলবে “শান্তির নামে” হত্যাকারীদের কাছে?
নাকি উঠে দাঁড়াবে আয়েশার ভাষায়, গাদ্দাফির রক্তের শপথে, আর ইরানের প্রতিরোধের প্রতিজ্ঞায়?
যারা মাথা নত করে, তাদের স্থান হয় জর্জ ফ্লয়েডের হাঁটুর নিচে।
যারা দাঁড়ায়, তারা হয় ইমাম হোসাইন।
যারা বেছে নেয় প্রতিরোধ, তারা হয় ফিলিস্তিনের পাথর হাতে শিশুর মতো অমর।
আজ সিদ্ধান্ত তোমার।
ইতিহাস লিখবে মাথা উঁচু করে বাঁচা মানুষের গল্প, নতজানু দাসদের নয়।