ভদ্রতার প্রতীক এক রাজনীতিবিদ-মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রাজনীতির শুদ্ধ পথচলা

নবজাগরণ ডেস্ক:মো:আবু তাহের পাটোয়ারী:
২১ জুন ২০২৫

বাংলাদেশের রাজনীতিতে শিষ্টাচার, সংযম এবং গঠনমূলক সমালোচনার চর্চা যেন এক বিলুপ্তপ্রায় গুণে পরিণত হয়েছে। সেখানে এক ব্যতিক্রমী ব্যাকরণ হয়ে উঠেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি-র বর্তমান মহাসচিব।
তাঁকে অনায়াসে বলা যায়, “বিএনপি’র ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভদ্রলোক”।

সজ্জনতার প্রতীক, দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে এক সম্মানিত মুখ
রাজনীতিতে ব্যক্তিগত আক্রমণ, বিদ্বেষ ও কুৎসার বিরুদ্ধে সবসময় দাঁড়িয়ে থেকেছেন ফখরুল সাহেব। তাঁর কথা বলার ভঙ্গি, জনসম্মুখে আচরণ, এমনকি কঠিন সময়ে ঠান্ডা মাথার অবস্থান তাঁকে দেশের এক বিরল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।
এমনকি ভিন্ন দলের অনেক নেতাও তাঁর গুণাবলির প্রশংসা করতে কুণ্ঠাবোধ করেননি।

সমালোচনা যেখানে যুক্তিভিত্তিক, প্রশংসাও সেখানে ন্যায্য

সম্প্রতি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই বলেছেন, “সরকারের সমালোচনা করা কর্তব্য, কিন্তু ভাল কাজকে সম্মান জানানোও উচিত।”
এই মূল্যবোধকে ধারণ করেই মির্জা ফখরুল যেভাবে ড. ইউনূসের প্রশংসা করেছেন-তা রাজনৈতিক সৌজন্যের অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

একটি সাম্প্রতিক ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় দেশের মানুষের অনুভব
ড. ইউনূসের প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল যখন বললেন, “উনি একজন গুণী, সম্মানিত, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যক্তি”, তখন অনেক সাধারণ মানুষ-যারা সাধারণত রাজনীতিকে ঘৃণা করেন-তাঁর এই বক্তব্যে প্রশান্তি পেয়েছেন। কারণ এটি প্রমাণ করে, বাংলাদেশে এখনো রাজনীতির মাঠে এমন মানুষ আছেন যাঁরা গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কথা বলেন।

রাজনীতিতে শিষ্টাচারের ঘাটতি পূরণ করছেন একজন মানুষ
আজ যখন আমরা দেখছি রাজনৈতিক বিতর্ক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির দিকে গড়ায়, তখন ফখরুল সাহেবের মতো নেতার উপস্থিতি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, রাজনীতি মানেই শত্রুতা নয়; এটি একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মান করেও দেশ গঠনের সাধনা হতে পারে।

উত্তরসূরিদের জন্য অনুপ্রেরণা
নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য মির্জা ফখরুলের রাজনীতি হতে পারে একটি পাঠ্যপুস্তক। যেখানে নেতৃত্ব মানে ক্ষমতার লোভ নয়, বরং দায়িত্বশীলতা; বিরোধিতা মানে ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়, বরং যুক্তিনির্ভর প্রশ্ন তোলা; আর ক্ষমতার বাইরে থেকেও শৃঙ্খলা ও সৌজন্য বজায় রাখা এক অসাধারণ আত্মনিয়ন্ত্রণ।

সকল বিতর্কের উর্ধ্বে উঠে সঠিক সময় সত্য বলা নিয়ে হয় একজন প্রকৃত নেতা:
রাজনীতিতে ভদ্রতা আজকাল দুর্বলতার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হয়। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রমাণ করেছেন, ভদ্রতা আসলে শক্তিরই রূপান্তর, যখন সেটি নীতিগতভাবে দৃঢ় হয়। তাঁর মতো নেতারা আমাদের রাজনীতিতে এখনও কিছু আশা, কিছু আলো ও কিছু সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেন।
দেশকে গঠন করতে হলে ভিন্নমতের সহনশীলতা এবং সৌজন্যপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে-যার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি হয়ে আছেন এই ভদ্র, বিচক্ষণ এবং গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের প্রতীক -মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর জন্য অফুরন্ত শ্রদ্ধা ও শুভকামনা।

লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। আরো জানতে পড়ুন :
www.thenabajagaran.com