নবজাগরণ ডেস্ক- বিশেষ বিশ্লেষণ:
যখন যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে, তখন থামা মানেই আত্মঘাত! আজ এই কথাটিই বুঝে গেছেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। নেতানিয়াহু, বাইডেন ও তাদের ইহুদি-সন্ত্রাসী জোট যুদ্ধবিরতির নামে আবারও এক নতুন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাততে চাইছে। কিন্তু এবার ইরান যেন ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েই রুখে দাঁড়িয়েছে-আর পিছু হটার সুযোগ নেই।
ইরান বলেছে-যুদ্ধবিরতি? হ্যাঁ, কিন্তু আগে তিনটি শর্ত!
১️⃣ ইরানকে পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে হবে – কোনো শর্ত ছাড়া, কোনো নজরদারি ছাড়া।
২️⃣ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘে স্বীকৃতি দিতে হবে পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে।
৩️⃣ আরব অঞ্চলের সব মার্কিন সামরিক ঘাঁটি তুলে নিতে হবে চিরতরে।
এই তিন শর্ত পূরণ না হলে, যুদ্ধ থামবে না। আর থামবে কেন?
যখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বাঙ্কার ব্লাস্টার মিসাইল ফেলা হয়েছে, তখনই যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এখন যুদ্ধবিরতির ডাক কেবল একটা প্রতারণার নতুন সংস্করণ।
নেতানিয়াহু: প্রতিশ্রুতির নামে প্রতারণার প্রতিমূর্তি ভন্ডদের দলনেতা
ইরানের পররাষ্ট্র নীতিতে আগেও কৌশল ছিল, ‘ধৈর্য্য’, ‘সমঝোতা’। কিন্তু নেতানিয়াহুকে বিশ্বাস করে গাজা আজ ধ্বংসস্তূপ। হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করেই আবার ঘুমন্ত ঘরে বোমা ফেলেছে ইসরায়েল। খামেনি এবার আর সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে রাজি নন।
এটাই বাস্তবতা:
ইসরায়েল বর্তমানে অস্ত্রশূন্য!
নেতানিয়াহু বন্দী জীবনযাপন করছে।
ইহুদি জনগণ বাঙ্কারে লুকিয়ে আছে।
তাদের সামরিক সক্ষমতা ভেঙে পড়েছে।
এখন যুদ্ধবিরতি চাইছে-শুধু সময় কেনার জন্য।
খামেনির হুঙ্কার: এবার ‘ইতি’ নয়, বরং ‘নবজাগরণ’
খামেনির কণ্ঠে এখন আর শান্তির বাণী নেই। আছে লড়াইয়ের অঙ্গীকার-একটা চূড়ান্ত পরিণতির আগে আর বিরতি নয়। কারণ তিনি জানেন, সময় দিলে ইহুদি লবিস্টরা পুনরায় ইউরেনিয়াম কার্যক্রম খুঁজে বের করার অজুহাতে আবার ইরানে হামলা চালাবে, গোপনে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র মজুত করে ইসরায়েলকে পুনর্গঠন করে আবার ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে।
ট্রাম্প এবং বাইডেন-উভয়ের ভুল ধারণা!
তারা ভেবেছে, ইরান ভয় পেয়েছে!
কিন্তু তারা জানে না, এবার ইরান ভাঙতে নয়, জিততে নেমেছে।
এবার যদি ইরান থামে, তাহলে আবার গাজা, লেবানন, ইরাক-সব ধ্বংস হবে।
ইরান থামলে কি হবে?
▪️ ট্রাম্প বলবে, “দেখো, পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস করলেই ইরান থেমে যায়।”
▪️ ইসরায়েল আবার গোপনে আমেরিকার সহায়তায় হামলা চালাবে।
▪️ শান্তির নামে আরও বড় বিপর্যয়ের জন্ম হবে।
এই যুদ্ধ এখন সাম্রাজ্যবাদ বনাম প্রতিরোধের যুদ্ধ
এটা আর কেবল ইরান বনাম ইসরায়েল নয়-
এটা বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদ বনাম প্রতিরোধ ফ্রন্টের যুদ্ধ।
ফিলিস্তিন, লেবানন, ইরাক, ইয়েমেন-সবাই একসাথে এবার বলছে,
“সমঝোতা নয়, মুক্তি চাই!”
“সংলাপ নয়, বিজয় চাই!”
ইরানের উচিত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া, কারণ-তারা মিথ্যাবাদী প্রতারক:
এখন বিশ্বজনমত ইরানের পক্ষে।
আমেরিকা ও ইসরায়েলের ভেতরে রাজনৈতিক বিপর্যয় চলছে।
যুদ্ধবিরতির সুযোগ দিলে তারা আবার ধোঁকা দেবে।
সময় এসেছে ফিলিস্তিনের মুক্তির, মুসলিম জাতির আত্মমর্যাদার।
সাবাস খামেনি!
সাবাস প্রতিরোধ ফ্রন্ট!
পিছিয়ে যাওয়া নয়-এবার এগিয়ে যাওয়ার সময়!
নবজাগরণ ডেস্ক