ভারতীয় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় অস্তিত্বের সংকট: আমাদের করণীয় কী?

নবজাগরণ ডেস্ক:
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা “র” বহুদিন ধরেই বাংলাদেশে একাধিক ছায়াযুদ্ধের সূচনা করেছে। অর্থনীতিতে অনুপ্রবেশ, রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার, মিডিয়াতে এজেন্টদের নিয়োগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীতে হস্তক্ষেপ-সবকিছু মিলিয়ে এখন এটা শুধুমাত্র একটি “গুপ্তচর-প্রভাবিত রাষ্ট্র” নয়, বরং এটি একটি নির্বাক উপনিবেশে পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে!

ভারতীয় হস্তক্ষেপ: প্রমাণ ও প্রবণতা

২০০৯ সালের পর থেকে বাংলাদেশে ভারতের প্রভাব ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকার কূটনীতিক পাড়ায় ‘র’-এর উপস্থিতি এখন খোলা গোপন রহস্য।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভেতরে এজেন্টদের নিয়োগ, কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং এমনকি মিডিয়ার মাধ্যমে জনমত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা-এসবই আমাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকে নিঃশেষ করে ফেলছে।

মেজর ডালিম, মেজর হাফিজ, এবং বাংলাদেশি বিপ্লবীদের সতর্কতা

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে যেমন বিদেশি চক্রান্তকারীরা ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিল, ঠিক একইভাবে এখন নতুনভাবে জাতিকে ‘নতুন দাসত্বে’ ঠেলে দিচ্ছে আধুনিক গুপ্তচর নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্ক ভেঙে না দিলে আমরা কখনোই সত্যিকার অর্থে স্বাধীন হতে পারবো না।

আইনের শাসন: কীভাবে রাষ্ট্রকে উদ্ধার করা যাবে?

প্রথমত: সংবিধানে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট ধারা যুক্ত করতে হবে।

দ্বিতীয়ত: সকল সরকারি পর্যায়ে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ জরুরি।

তৃতীয়ত: প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে দেশপ্রেমিক চেইন অফ কমান্ড প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

চতুর্থত: শিক্ষায়, মিডিয়ায়, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় প্রভাবের বিচারযোগ্য তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।

আজ যদি আমরা সচেতন না হই-

তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম শুধুমাত্র একটি নামমাত্র স্বাধীন বাংলাদেশের গল্প শুনবে। জাতীয়তাবাদ, স্বাধীনতা, এবং আত্মমর্যাদার যে চেতনায় আমরা ১৯৭১-এ যুদ্ধ করেছিলাম, সেই চেতনাই আবার নতুন করে জাগাতে হবে।

সময় এসেছে একটি নতুন গণআন্দোলনের!

এই আন্দোলন শুধুমাত্র একটি দলের বিরুদ্ধে নয়, বরং সেই সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যারা দেশকে বিক্রি করে বিদেশি প্রভুদের খুশি করছে।

আমাদের হাতে এখনো সময় আছে, কিন্তু তা দ্রুত ফুরিয়ে আসছে! ইতিহাস ডাকছে, তুমি কী জবাব দেবে?চলবে –
www.thenabajagaran.com