নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানীর মগবাজার আদ্-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তা ভাত হোটেলে খাবার খেয়ে একই পরিবারের তিন সদস্য বাবা,মা,ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
সরজমি গিয়ে দেখা যায়,রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা মগবাজার চৌরাস্তার পার্শ্বে ঐতিহ্যবাহী ভর্তা ভাত হোটেল অবস্থিত পাশে আবাসিক হোটেল ‘সুইট স্লিপে ছেলের চিকিৎসার জন্য উঠেছিলেন সৌদি প্রবাসী মনির হোসেন (৪৮), তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার স্বপ্না (৩৮) এবং ছেলে নাঈম হোসেন (১৮) সাথে ছিলেন কেয়ারটের ছিলেন।
২৯ জুন রোববার সকালে মগবাজারের আবাসিক হোটেল স্লিপে নিজ রুমে বমির উপসর্গ দেখা দিলে তাদের আদ্-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করান সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে তিনজনেই মারা যান।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে খাবারে বিষক্রিয়া থেকেই এই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে চিকিৎসক ও পুলিশ।
নিহত মনিরের তিন ভাই দেশের বাহিরে থাকয় তার চাচা মো. রফিক হোসেন নিশ্চিত করেন,ঢাকায় ছেলে নাঈমের চিকিৎসার জন্য আসেন মনির হোসেন। মগবাজারে ‘সুইট স্লিপ’ নামে একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় বাইরে খাওয়া-দাওয়া করেন তারা। খাবারের পর থেকেই সবার শরীর খারাপ হতে থাকে।রফিক বলেন, ‘প্রথমে বমি, পরে একে একে সবাই অচেতন হয়ে পড়ে। সকালে হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।’তার দুই ভাই ইতালি এবং এক ভাই সৌদিতে আছেন আগামীকাল সকালেই আসবেন তারপর ভিডিও ফুটেজ পুলিশ তারা তদন্ত করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্লিপ হোটেলের সহকারী ম্যানেজার আব্দুল মানিক বলেন তারা শনিবার বিকেলে হোটেলে উঠেছিলেন। একজন কেয়ারটেকারও সঙ্গে ছিলেন, যিনি বাইরে থেকে খাবার এনে দিতেন। আমরা জানতাম না তারা অসুস্থ- কেয়ারটেকারই একে একে সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে যান।নিহত তিনজনের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামে।
রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক ওমর ফারুক দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে নিশ্চিত করেন, ঘটনার পর হোটেল কক্ষ থেকে ‘ভর্তা-ভাত’ নামের হোটেলের খাবারের প্যাকেট, বমির ওষুধসহ বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।তিনি আরও জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভর্তা ভাত হোটেলের ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে জানানো হয়, খাবারগুলি আমাদেরই হোটেলের আমরা গ্রাহক সেবার মান নিশ্চিত করে দীর্ঘদিন থেকে আমরা ব্যবসা করে আসছি।এমনকি কেউ খাবার ফেরত দিলে টাকাটা আমরা রিটার্ন দিয়ে দেই খাবারগুলি আমরা ডাস্টবিনে ফেলে দেই খাবার খেয়ে এরকম ঘটনা আমাদের হোটেলের ইতিহাসে নেই আমরাও চাই সুস্থ তদন্ত হোক