কে.এ.সাদাত : আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর ০২ আসনে জাতীয় পার্টি জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর উপরই রয়েছে জনগণের আস্হা ও ভরসা। নেছারাবাদ উপজেলা জাতীয় পার্টি জেপি’র আহ্বায়ক সমূদয়কাঠীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল ইসলাম সাইদ এ কথা বলেছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর ০২ আসনে কে হতে পারেন নেছারাবাদ, কাউখালী ও ভান্ডারিয়া উপজেলার সাধারণ জনগণের কাণ্ডারী? এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, উন্নয়নের রুপকার হিসাবে দক্ষিণাঞ্চল তথা বাংলাদেশের মানুষের কাছে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু একজন পরিচিত ব্যাক্তি। বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ ৩৮ বছর সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ১৮ বছর গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
নাজমুল ইসলাম সাইদ বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে তিনি পিরোজপুর ০২ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন ইতিমধ্যে এ আসনে জামাআতে ইসলামি তাদের প্রার্থী চুড়ান্ত করেছে। তারা মাঠে তাদের দল সংগঠিত করতেছে এবং প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রয়েছে অর্ধ ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাই তারা বিএনপির ব্যানারে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দলের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। সেক্ষেত্রে সবকিছু ঠিক থাকলে জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নিজেই এ আসন থেকে প্রার্থী হবেন। ভান্ডারিয়া এবং কাউখালী উপজেলায় তার দলের রয়েছে শক্ত অবস্থান এবং সাংগঠনিক শক্তি।
তিনি ইতিপূর্বে যতবার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তখন নেছারাবাদ উপজেলা পিরোজপুর ০২ আসনের অন্তর্ভুক্ত ছিলো না। তাই এখানে জেপি’র সাংগঠনিক অবস্থা সুসংগঠিত নয়। কিন্তু বিগত সংসদ নির্বাচনে সেখ হাসিনার প্লান গেইম এর শিকার হয়ে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জীবনে প্রথম সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন। ঐ নির্বাচনে তিনি নেছারাবাদ উপজেলা থেকেও ৩৬,০০০ হাজার ভোট পান। নেছারাবাদ উপজেলার সর্বত্র তার ভোট কেন্দ্র পরিচালনা কমিটি এখনো বিদ্যমান রয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহন করবে না এ বিষয়ে জনগণ নিশ্চিত হয়েছেন। বিএনপির প্রতি বিরাগভাজন এবং জামাআতের সাথেও সম্পর্ক নাই এমন সাধারণ জনগণ আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর আগমনের অপেক্ষায় রয়েছে।
নাজমুল ইসলাম সাইদ আরও বলেন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু কখনোই কারো উপর রাজনৈতিক ও ব্যাক্তিগত আক্রোশ পূরন করেন না। থানা পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করে কখনো মিথ্যা মামলায় উৎসাহিত করেন না। তিনি কখনোই প্রশাসনিক কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করেন নি। এ কারনে এলাকার জনসাধারণ তাকেই তাদের নিরাপত্তা বলয় মনে করে। তিনি তার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম কঠোর ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। যার কারণে অন্যান্য সংসদীয় এলাকার চেয়ে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু’ এর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। তিনি সব সময় গরীব দুঃখীদের নিজ তহবিল থেকে সহায়তা করেছেন। এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও যোগাযোগ খাতে ব্যাপক দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছেন তিনি। তার বদৌলতে দক্ষিণের জেলা পিরোজপুরের মানুষের জীবন যাত্রার মান বদলে গেছে।
জেপি’র নেছারাবাদ উপজেলা নেতা মোঃ নাজমুল ইসলাম সাইদ আরো বলেন, নেছারাবাদ ( স্বরুপকাঠী) উপজেলার সাথে জেলা শহরের সরাসরি যোগাযোগে একমাত্র প্রতিবন্ধকতা গাবখান চ্যানেল। এ চ্যানেলে ২য় গাবখান সেতু নির্মান নেছারাবাদ উপজেলাবাসীর প্রানের দাবি। আর তা নির্মানে জনাব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুতরাং আগামী সংসদ নির্বাচনে তাঁকে নির্বাচিত করে আমাদের এ দাবি আদায় করা এখন সময়ের ব্যাপার।
জনাব আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর অবর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে জেপির হাল কে ধরতে পারেন বলে মনে করেন? এ প্রশ্নের জবাবে নাজমুল ইসলাম সাইদ বলেন, তার যোগ্য উত্তর সূরী হিসাবে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মাহিবুল হোসেন মাহিম রয়েছেন। কিন্তু তিনি কর্মী বান্ধব রাজনীতিবীদ নহেন। তিনি নেতাকর্মীদের তেমন খোঁজ খবর রাখেন না। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে তার রয়েছে দূরত্ব। যাহা রাজনীতির জন্য প্রধান অন্তরায়।
নাজমুল ইসলাম সাইদ বলেন, নির্বাচন কখন হবে তা নিশ্চিত নয়। তবে নির্বাচন যখনই হোক না কেন নেছারাবাদ উপজেলা জেপি’র নেতাকর্মী, সমর্থক ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ভক্তরা নির্বাচনী মাঠে তারই জন্য অপেক্ষা করছে।