তৌহিদুর রহমান মোল্লা:
রাজধানীর পুরনো পল্টনের হিমেল এয়ার ট্রাভেল সার্ভিসের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সৌদি আরব গিয়ে দুই লক্ষাধিক নারী ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে, পুরনো পল্টনের সাব্বির টাওয়ারের চতুর্থ তলায় ওই হিমেল এয়ার ট্রাভেলস সার্ভিস নামক প্রতিষ্ঠান। আর ঐ প্রতিষ্ঠানের মালিক আবুল কাশেম। সে দীর্ঘদিন ধরে ভয়ংকর দালাল চক্রের মাধ্যমে সৌদি আরবে আকাশ ছোঁয়া বেতন, থাকা- খাওয়া ও দেশে যাতায়াত ফ্রি। ইত্যাদি মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে কব্জা করে সৌদি আরবে পাচার করে। সৌদি আরবে রয়েছে তার অপকর্মের একান্ত সহযোগী আব্দুল্লাহ (৫০) নিজাম (৪৫) ও বশির (৪০)সহ অনেকে। তারা এসব মহিলাদের সৌদি আরবের বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করে তাদের গোপন আস্তানায় নিয়ে যায়। এরপর তাদের অর্ধনগ্ন করে লাইনে দাঁড় করিয়ে সৌদি আরবের স্থানীয় শেখদের কাছে তাদের পছন্দের সুন্দরী স্বাস্থ্যবতী নারীদেরকে চড়ামূল্যে বিক্রি করে। ঐসব সুন্দরী নারীরা ঐশেখদের দ্বারা নিয়মিত ধর্ষনের শিকার হচ্ছে। যদি কোন নারী ঐসব অসামাজিক কাজে প্রতিবাদ করে এবং বাংলাদেশে ফিরে আসতে চায় সেক্ষেত্রে তাকে জোরপূর্বক দুই তিন জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষন করে এবং উলঙ্গ ছবি ভিডিও আবুল কাশেমের কাছে পাঠায় আর ঐ
সব নোংরা অশ্লীল ছবি সৌদি আরবে থাকা তার দালালরা আবুল কাশেমের মোবাইলে পাঠায়। দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ওইসব সুন্দরী মহিলাদের সাথে মহা প্রতারক কাশেম নিজেই কথা বলে ভয়ানক হুমকি দেয় এবং তাদের মোবাইলে ওইসব নোংরা ভিডিও পাঠিয়ে বলে তোমরা যদি আমার কথা না শোন তাহলে তোমাদের অবস্থা ভয়ানক হবে। তিনি তাদেরকে হুমকি দিয়ে আরো বলেন,তোমরা যদি দেশে আসতে চেষ্টা কর তাহলে এসকল আপত্তিকর ছবি নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখায়। যে কারণে ওই সৌদি আরব প্রবাসী মহিলারা সহজে আর দেশে ফিরতে পারে না। তারা মান সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলতেও পারেনা। এভাবে জোরপুর্বক এক- একজন বাঙালি নারীকে একাধিক শেখের যৌন চাহিদা মেটাতে বাধ্য করছে ওই পাচার কারীরা। এসব নারীদের উপর অতিরিক্ত যৌন নির্যাতনের ফলে অচিরেই তারা কিডনি ও প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড অকের্জো হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। এসব নারীদের পারিবারিক চাপে পড়ে কাউকে দেশে ফেরালে বিমান ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক খরচ ওই ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকদের থেকে আদায় করে নেয় নারী পাচারকারী আবুল কাশেমচক্র। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নারী পাচারকারী চক্রের মুল হোতা আবুল কাশেম তার হিমেল এয়ার ট্রাভেলস সার্ভিসের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকারের ১৬ বছরে অন্তত ১ লক্ষ ৫০ হাজার নারী শুধু সৌদি আরবে পাচার করে তাদের ঘরোয়া যৌনকর্মী হতে বাধ্য করেছে। তারা সকলেই প্রতারণার শিকার। যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পরিবারের টাকায় দেশে ফিরে এসে এমন চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিলেন বরিশালের মঞ্জু বেগম (৪০) ঢাকার ডেমরা স্টাফ কোয়াটার এলাকার সাথী আক্তার, (২৫) পুরাতন ঢাকার আসমা আক্তার, (২৮) ও মুগদার হালিমা আক্তার (৩০)সহ আরো কয়েকজন। এসব ভুক্তভোগীরা হিমেল এয়ার ট্রাভেলস সার্ভিসের মালিক আবুল কাশেমের অনৈতিক, অসামাজিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে তারা প্রতিবেদকের সম্মুখে কান্নায় ভেঙে পড়েন ভূক্তোভোগী নারীরা। ভুক্তভোগীরা অঝোরে কেঁদে কেঁদে এই লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেন এবং এই নারী পাচারকারী কাশেম চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির জন্য বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানান। আবুল কাশেমে সৌদি আরবে নারী পাচার করে শতকোটি টাকার মালিক বনে যান।এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে নারী পাচারকারী কাশেমের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি নিজেকে একজন মিডিয়া কর্মী বলেও দাবি করেন। এরপর তার খয়ের খা কয়েকজন সাংবাদিকের নামও প্রকাশ করেন এবং এই প্রতিবেদন প্রকাশ ন করতে অনুরোধ করেন। সে নিজেকে একজন বড় মাপের সাংবাদিক পরিচয় দেন। সাংবাদিকরা আমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।অবশেষে অপ্রতিবেদকে তার অফিসে চায়ের দাওয়াত দেন।
