মো:আবু তাহের পাটোয়ারী:
১৭৫৭ সালে ইতিহাসের সবচেয়ে নির্মম রাজনৈতিক প্রতারণার সাক্ষী হয়েছিল এই বঙ্গভূমি।
নবাব সিরাজউদ্দৌলার নেতৃত্বে ১০ হাজার অশ্বারোহী এবং ৩০ হাজার পদাতিক সেনাবাহিনী থাকলেও,
মাত্র ৩ হাজার ব্রিটিশ সেনা ও লর্ড ক্লাইভের প্রতারণার কাছে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।
কার কারণে? মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতা।
তিনি যুদ্ধে হেরেছিলেন নয়,
বিশ্বাস হেরেছিল।
তিনি অস্ত্রের কাছে নয়,
ক্ষমতা-লোভীদের ষড়যন্ত্রে পরাজিত হয়েছিলেন।
তখন বাংলার ভেতরেই লুকিয়ে ছিল এক ঝাঁক“দেশপ্রেমহীন ক্ষমতা-পিপাসু”,
যারা ইংরেজদের পায়ের নিচে জাতিকে ঠেলে দিয়েছিল।
আজ ২০২৪ সালের বিপ্লব ঠিক সেই ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে।
আবার একটি লর্ড ক্লাইভ উঠেছে-শুধু পোশাক বদলেছে।
আবার কিছু মীরজাফর তৈরি হয়েছে-তারা নাম বদলেছে, মুখোশ বদলেছে,
কিন্তু তাদের চরিত্র এখনও সেই একই:
লোভী, নির্লজ্জ, চাটুকার এবং জাতি-বিক্রেতা।
এরা হয়তো ফিসফিস করে বলবে:-“চলো সমঝোতা করি”
-“এবার ক্ষমতায় গেলে আমাকেও একটা মন্ত্রণালয় দিও”- “ইংরেজরা খারাপ না, কেবল নিজেদের স্বার্থ দেখে”
এই সব কথার আড়ালে আবারও এক পলাশী প্রস্তুত হচ্ছে।
কিন্তু এবার ইতিহাস রচিত হবে অন্যভাবে।
তরুণদের প্রতি আহ্বান:
হে বাংলার বিপ্লবী তরুণ,
জেগে উঠো, ইতিহাসকে পাল্টাও।
মনে রেখো, এই লড়াই কেবল রাজপথের নয়-
এই লড়াই চরিত্রের,
দেশপ্রেমের,
ঐক্যের,
এবং জাতির ভবিষ্যতের লড়াই।
লর্ড ক্লাইভরা জানে আমরা বিভক্ত।
তারা আমাদের মধ্যে সন্দেহ ছড়াবে।
অর্থ, পদ, সম্মান-সব দিয়ে আমাদের কিনতে চাইবে।
কিন্তু এবার আমাদের প্রমাণ করতে হবে:
আমরা বিক্রি হবো না।
আমরা সিরাজ নই, আমরা প্রতিরোধ।
এই বিপ্লব কেবল সরকার বদলের জন্য নয়-
এই বিপ্লব রাষ্ট্র বদলের জন্য।
এই বিপ্লব মীরজাফরদের বিচার চায়,
এই বিপ্লব নবনির্মিত বাংলাদেশের জন্য।
আর হ্যাঁ, ইতিহাসের অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া
সেই “গুণী, সৎ, দেশপ্রেমিক” নেতাদের কদর ফিরিয়ে আনতে হবে আমাদেরই।
কারণ লজ্জা নয়, সত্য আর সাহস হবে এবার জাতির মানদণ্ড।
এবার আর কেউ পলাশী গড়তে পারবে না।
এবার আমরাই ইতিহাস হবো।
শেয়ার করুন এই বার্তা, যদি আপনি বিশ্বাস করেন:
এইবারের বিপ্লব যেন আর মীরজাফরের কাছে হেরে না যায়।
এই বাংলাদেশ আর পরাজয়ের নাম নয়,
এবার সে বিপ্লবের প্রতীক।
লেখক:সম্পাদক,
নবজাগরণ
www.thenabajagaran.com