নবজাগরণ ডেস্ক-বিশেষ প্রতিবেদন:৮ জুলাই ২০২৫
তাসনীম জারার আগমনে নগরজুড়ে স্বপ্নের উৎসব:
রিকশাওয়ালার হাসি, শিক্ষার্থীর বায়না, মায়ের বিশ্বাসে জেগে উঠছে নতুন বাংলাদেশ!
ডা. তাসনীম জারা-একজন চিকিৎসক, গবেষক, বিশ্ব নাগরিক, আর এখন এক আশাবাদী রাজনীতির সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ প্রতীক। তাঁর উপস্থিতি যেন এক আশ্চর্য শক্তির উদ্দীপনা ছড়িয়ে দিয়েছে বাংলার প্রতিটি অলিতে-গলিতে। শুধু রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নয়, বরং সাধারণ মানুষ, যারা প্রতিদিন সংগ্রাম করেন জীবন ও জীবিকার প্রশ্নে-তাদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়েছে এক আনন্দিত প্রত্যাশা, এক গভীর ভরসা।
রিকশাওয়ালার নতুন স্বপ্ন:
“আরে ভাই, যারে দেখলেই মনের ভিতর শান্তি আসে, মানুষরে কেমন জানি আপন মনে হয়”-রিকশা চালক হাসনাতের চোখে আনন্দের জল। সারাদিন শহরের রোদ-ধুলোতে ঘুরে ক্লান্ত হলেও, যখন যাত্রী বলছে-“চলেন ডা. তাসনীম জারার প্রোগ্রামে যাব”-তখন ক্লান্তি নয়, বরং গর্ব কাজ করে তাঁর মনে। তিনি বলেন,
“এইরকম একটা ভালো মানুষ যদি দেশের দায়িত্ব নেয়, তাহলে হয়তো আমার মেয়েটারে আর গার্মেন্টসে পাঠাইতে হইবে না।”
স্কুলছাত্রীর বায়না:’আমিও যাব তাসনীম আপুর কাছে’
শহরের এক স্কুলের শিক্ষার্থী ছোট্ট নাদিয়া তার মায়ের কাছে বায়না ধরে বসেছে-তাসনীম আপুকে সামনে থেকে দেখতে চায়। তার হাতে এক ছোট প্ল্যাকার্-রঙ পেন্সিলে লেখা:
“তাসনীম আপু, আমি তোমার মতো হতে চাই!”
এই একটি বাক্যই বলে দেয়-ডা. তাসনীম জারা আজ শিশুদের কাছেও অনুপ্রেরণার নাম। তিনি এক সময় ইউরোপ-আমেরিকায় কাজ করেছেন, কিন্তু আজ বাংলার ঘামে ভেজা মাটিতেই নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার সংকল্প করেছেন।
মধ্যবয়সী মায়ের বিশ্বস্ত হাত!
নাহিদা বেগম-একজন মধ্যবয়সী গৃহবধূ। তার তিন সন্তান। রাজনীতি তাকে সবসময়ই আতঙ্কিত করত। কিন্তু এবার তিনি পরিবর্তনের জন্য আশাবাদী। তাঁর হাতে একটি ছোট ব্যানার-“তাসনীম জারা মানে মায়ের চোখের নিশ্চিন্তি।”
তিনি বলেন,
“আমরা শুধু নিরাপদ একটা সমাজ চাই। আমার মেয়েটা যেন ধর্ষণের ভয়ে স্কুলে যেতে ভয় না পায়। আমি চাই ওর ভবিষ্যৎ একজন তাসনীম হোক।”
মানুষের হৃদয় স্পর্শে জাগরণ
এই দৃশ্যগুলো নিছক আবেগের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং তা ভবিষ্যৎ রাজনীতির একটি নতুন ধারা-যেখানে মানুষ মানুষকে খোঁজে, যেখানে নেতৃত্ব মানে রক্তচোষা ক্ষমতা নয় বরং সেবা, শ্রদ্ধা আর শুদ্ধতার প্রতিচ্ছবি। ডা. তাসনীম জারা যখন মাঠে নামেন, তখন তাঁর চারপাশে জড়ো হয় না কেবল রাজনীতির কর্মী, বরং সাধারণ মানুষ-যাদের জীবনে প্রতিদিন যুদ্ধ, কষ্ট, কিন্তু তবুও স্বপ্ন বাঁচে।
এই স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আজ আমাদের সবার। রিকশাওয়ালার হাসি, শিশুর প্ল্যাকার্ড, নারীর বিশ্বাস, তরুণীর বায়না-এগুলো শুধু ব্যক্তিগত অনুভূতি নয়; বরং একটি ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, যা কোনোভাবেই ম্লান হতে দেওয়া যাবে না।
তাসনীম জারার বার্তা: “নেতৃত্ব নয়, আমি চাই সহযাত্রা”
ডা. তাসনীম জারার ভাষ্য খুবই সরল কিন্তু গভীর:
“আমি কাউকে অনুসরণ করতে বলছি না, আমি চাই আমরা সবাই পথ চলি একসাথে-ভবিষ্যৎ নির্মাণে হাতে হাত রেখে।”
এই একবাক্যেই তিনি নতুন প্রজন্মকে জানিয়ে দিলেন-আমার নেতৃত্ব মানে একক নয়, সম্মিলিত অভিযাত্রা।
আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়তে জাগ্রত জনতা
আজ রাজনীতির মঞ্চে যখন দুর্নীতি আর হীনমন্যতার ছায়া, তখন এক তাসনীম জারা আমাদের দেখাচ্ছেন আশার আলো। তাঁর দিকে তাকিয়ে যেন দেশের প্রতিটি কোণ থেকে উচ্চারিত হচ্ছে-“এইবার, আমাদের পালা!”
নবজাগরণ এই নবদিগন্তের সাক্ষী হতে পেরে গর্বিত। এই উৎসব যেন কখনোই ফিকে না হয়, যেন বেঁচে থাকে হৃদয়ের গভীরতম কোণে।
রিকশাওয়ালা ভাইয়ের স্বপ্নের হাসি, স্কুলপড়ুয়া বোনের বায়না, আরেক মায়ের বিশ্বাসের হাত -এ তো নতুন বাংলাদেশের মুখ!
একজন রিকশাওয়ালা ভাই বলেন-
“জারা আপার মতো যদি কেউ দেশ চালায়, আমার মেয়েটারে আর গার্মেন্টসে পাঠাইতে হইব না…”
এক স্কুলপড়ুয়া তরুণী, হাতে রঙপেন্সিলে প্ল্যাকার্ড-“তাসনীম আপু, আমি তোমার মতো হতে চাই।”
এক মধ্যবয়সী মা-তিন সন্তানের অভিভাবক, বলেন-“তাসনীম জারা মানে আমার মেয়ের নিরাপদ ভবিষ্যৎ… আমি নিশ্চিন্ত।”
আর এসব দৃশ্য সামনে রেখে আমরা বুঝি-তাসনীম জারা কেবল একজন রাজনীতিক নন, তিনি হয়ে উঠছেন কোটি মানুষের আশা, ভালোবাসা আর আস্থার প্রতীক।
আজ এই শহরের অলিগলি কেবল মুখে মুখে নয়, হৃদয়ে হৃদয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে এক নতুন নেতৃত্বের সম্ভাবনা।
রিকশাওয়ালা ভাইয়ের প্রাণখোলা হাসি, তরুণীর প্রাণবন্ত বায়না, মায়ের নিঃশর্ত বিশ্বাস আর ছোট্ট পিচ্চি জারার হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড-এগুলো নিছক আবেগ নয়, এ আমাদের উপর অর্পিত এক ঐতিহাসিক দায়!
এই হাসি, এই বিশ্বাস, এই স্বপ্ন আমরা কখনো ম্লান হতে দেব না, ইন শা আল্লাহ।
এই দায় আমরা বহন করবই-অটুট প্রতিজ্ঞায়, অপরাজেয় ভরসায়।
তাসনীম জারা বলছেন না নেতৃত্ব নিতে-তিনি বলছেন, “চলো, একসাথে পথ চলি…”
এবার, সত্যিই আমাদের পালা!
পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ,মা রোকেয়া খাতুন, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, এনসিপি নেতা সাইফুল্লাহ হায়দার, আসাদুল্লাহ আল গালিব, আবু সাঈদ লিয়ন, ডা. মাহমুদা আলম মিতু, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, ফিহাদুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বিস্তারিত জানতে পড়ুন এবং শেয়ার করুন :
www.thenabajagaran.com
#তাসনীম_জারা #নতুন_নেতৃত্ব #বাংলাদেশ_জাগছে #নারী_নেতৃত্ব #নবজাগরণ